মোহন দাস, আরামবাগ: পড়ুয়ার অভাবে কার্যত বন্ধের মুখে আরামবাগের নারায়ণপুর জুনিয়র হাইস্কুল (Arambagh Narayanpur Junior High School)। মাত্র দু’জন শিক্ষক থাকায় সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে নারাজ অভিভাবকরা। দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন স্কুল পরিদর্শক।


পড়ুয়ার অভাবে বন্ধের মুখে স্কুল: খাঁ খাঁ করছে ক্লাসরুম, স্কুলে নেই পড়ুয়াদের হইচই, হুল্লোড়। স্টাফ রুমে গল্প করেই সময় কাটছে শিক্ষকদের। এই ছবি হুগলির আরামবাগের নারায়ণপুর জুনিয়র হাইস্কুলের। স্কুলের পড়ুয়া দুই, শিক্ষকও দুই। অভিযোগ, খাতায় কলমে দুই ছাত্রের নাম থাকলেও কয়েকমাস ধরে তারাও স্কুলে আসে না। ফলে পড়ুয়ার অভাবে কার্যত বসে বসেই দিন কাটে দুই শিক্ষকের। নারায়ণপুর জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষক সুকৃতি গুপ্ত বলেন, “কোনও পড়ুয়া নেই। তাই সারাদিন বসেই থাকতে হয়। এভাবেই চলছে।’’ স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১১ সালে স্থানীয় বাসিন্দাদের আবেদনের ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয় নারায়ণপুর জুনিয়র হাইস্কুল। অভিযোগ, স্কুল গড়ে উঠলেও সেখানে মাত্র দু’জন শিক্ষক থাকায় ক্রমেই কমতে থাকে পড়ুয়ার সংখ্যা। ওই এলাকার এক বাসিন্দার কাকলি মালিকের কথায়, “স্কুলে তো শিক্ষকই নেই। ওখানে পাঠিয়ে কী হবে। আমরা তাই ছেলেমেয়েদের অন্য স্কুলে ভর্তি করেছি।’’


পঠনপাঠনের সমস্যার কারণেই পড়ুয়াদের পাশের গ্রামের স্কুলে ভর্তি করেছেন অভিভাবকরা। কার্যত স্বীকারোক্তির সুর শোনা গেল নারায়ণপুর জুনিয়র হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার কণ্ঠেও। আরামবাগের নারায়ণপুর জুনিয়র হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কবিতা হাজরা, “আমরা পড়ুয়া আনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কেউ পড়তে আসছে না। মাত্র দু’জন শিক্ষক হওয়ায় কেউ এখানে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করতে চায় না। স্কুলে শিক্ষক আরও যাতে আনা হয় তার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’’ নারায়ণপুর জুনিয়র হাইস্কুলের বেহাল চিত্র সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসেছেন স্থানীয় স্কুল পরিদর্শক। স্কুল পরিদর্শক অবন্তী পোড়েলের কথায়, “আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা হবে।’’ দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে গ্রামের স্কুলটি ফের সচল করা হোক, আবেদন স্থানীয়দের।


আরও পড়ুন: Kunal Ghosh on Booster Dose: "বুস্টার ডোজ ফ্রি দেওয়ার নামে নাটক করছে কেন্দ্র'' তোপ কুণালের