হুগলি: আরামবাগে ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ। কমিশনের প্রকাশ করা ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ। ২০০২ সালে ভোট দিলেও দুই ভাইয়ের নাম নেই অভিযোগ পরিবারের। নাম বাদের আতঙ্কে আরামবাগের দুই পরিবার। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস তৃণমূল সাংসদের। তৃণমূল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে পাল্টা দাবি বিজেপির।
আরও পড়ুন, আজই তৃণমূলে কামব্যাকের সম্ভাবনা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের, বিকেল ৩ টেয় TMC ভবনে সাংবাদিক বৈঠক
SIR-আবহে এবার নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা ২০০২ এর ভোটার তালিকায় উঠল গরমিলের অভিযোগ। যা নিয়ে আতঙ্কে আরামবাগের ২ পরিবার। মাধবপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা, সরফরাজউদ্দিন খান ও তাঁর ভাই সিরাজউদ্দিন খানের অভিযোগ, লোকসভা ভোট থেকে বিধানসভা নির্বাচন, নিয়ম করে ভোট দিলেও কমিশন প্রকাশিত ২০০২-এর ভোটার তালিকা থেকে নাম উধাও হয়ে গেছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে আরামবাগের দুই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ। পাশাপাশি SIR নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণও শানিয়েছেন তিনি। পাল্টা আরামবাগের বিজেপি বিধায়ক মধুসূদন বাগের দাবি, অকারণ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।
শুধু হুগলির আরামবাগেই নয়, সম্প্রতি কমিশনের আপলোড করা ২০০২-এর ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগ বসিরহাটেও। বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার সংগ্রামপুরের দু'টি বুথে ৩৪ জন ভোটারের নাম না থাকার অভিযোগ। ২০০২ সালে ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোট দিয়েছেন, দাবি নাম না থাকা ভোটারদের। কমিশনের আপলোড করা তালিকায় নাম বাদ যাওয়ায় আতঙ্কিত ভোটাররা। বসিরহাটের মহাকুমা শাসক এর কাছে অভিযোগ দায়ের ভোটারদের। কমিশনের আপলোড করা ২০০২ সালের তালিকায় ৮৫৮ জনের নাম, দাবি ভোটারদের। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে থাকা কপিতে ৮৯২ জন ভোটারের নাম, দাবি ভোটারদের। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, দাবি BLO-র।
প্রসঙ্গত, রাজ্য়ে SIR প্রস্তুতি যখন তুঙ্গে, তখন বসিরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মাথাচাড়া দেয় ভূতুড়ে ভোটার তরজা। এই নিয়ে ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বিজেপি। পাল্টা উত্তর দেয় তৃণমূল। এলাকায় নেই, তবে ভোটার তালিকায় বহাল তবিয়তে রয়েছেন!একটা দুটো নয়, এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি। ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন বা SIR নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় চলছে,তখন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মাথাচাড়া দেয় ভূতুড়ে ভোটারের তরজা। একসময় বসিরহাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, বিয়ে হয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে গেছেন এক যুগ আগে! ঠিকানা পরিবর্তন হলেও, ভোটার তালিকায় নামটা রয়ে গেছে!