সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দননগর (হুগলি): চন্দননগর কাঁটাপুকুরে বিধ্বংসী আগুন।পুড়ে ছাই দুটি ঘর। দুপুরের পরে চন্দননগর কাঁটাপুকুর এলাকার বাসিন্দারা মন্টু দত্তের বাড়ির দোতলা থেকে আগুন দেখতে পান। তাঁর বাড়িতে প্লাস্টিরে দরজা ও পিভিসি পাইপের দোকান আছে, সেই সব আসবাব মজুত ছিল। প্রথমে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে জল নিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের লোকজন। আগুন আয়ত্বের মধ্যে না আসায় খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে আসে চন্দননগর থানার পুলিশ।প্রথমে চন্দননগর দমকল বিভাগের একটি ইঞ্জিন আসে, ও পরে চুঁচুড়া ও চাঁপদানি থেকে আরও দুটি ইঞ্জিন আসে। দমকলের মোট তিনটি ইঞ্জিন প্রায় ঘণ্টাখানের উপরের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র এবং বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দলিল পুড়ে গেছে। তবে হতাহতের কোন খবর নেই। দমকলের প্রাথমিক অনুমান রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার অথবা শর্টসার্কিটের কারনে আগুন লেগে থাকতে। তদন্ত করে দেখা হবে। তবে এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কের সৃষ্টি হয় এলাকা জুড়ে। 


এদিকে এদিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে আগুন লাগে। এদিন সকাল সোয়া ১১টা ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। এই ঘটনায় মুহূর্তে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। কীভাবে আগুন লাগল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এরপর কিছুক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। 


গত ২৪ অগাস্ট চাঁপদানীর জিআইএস কটন মিলে ভয়াবহ আগুন লাগে। সেই আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। দীর্ঘক্ষণ ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। মিল ম্যানেজার ডি কে সিং জানিয়েছিলেন মিলের মিক্সিং ইউনিটে আগুন লাগে সম্ভবত ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। সিল্ক কটন সুতো তৈরীর কাঁচামাল মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পরে। কটন মিলের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা দিয়ে প্রাথমিক ভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। পরে খবর দেওয় হয় দমকলে।