সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : তৃতীয়বার চন্দননগরের ( Chandannagar Municipal Election ) মেয়র হলেন রাম চক্রবর্তী । আজ থেকেই কাজ শুরু করলেন তিনি। জনসংযোগের পাশাপাশি, খতিয়ে দেখলেন চন্দননগর শহর ভাগাড় সংস্কারের কাজ।

চন্দননগরের মেয়র জানিয়েছেন, গঙ্গার জল পরিশোধন করে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া, ভাগাড়ের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়া এসবই এবার প্রাধান্য পাবে। এবার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ভোটে দাঁড়ান রাম চক্রবর্তী। এর আগে কংগ্রেস ছেড়ে ২০০০ সালে তৃণমূলে যোগ দেন। ২০১০-এ প্রথমবার চন্দননগরের মেয়র হন রাম চক্রবর্তী (Ram Chakraborty )। 

গত দুটি বোর্ডের মেয়রও ছিলেন তিনিই। পাঁচবার কাউন্সিলর হয়েছেন। চন্দননগর পুরভোটে তৃণমূল প্রার্থী রাম চক্রবর্তীর বায়োডেটা এমনই। ষষ্ঠবার চন্দননগর পুরসভায় যেতে কাজের কথাই তুলে ধরে ছিলেন এই হেভিওয়েট প্রার্থী। রাজ্যে পরিবর্তনের আগেই চন্দননগর পুরসভায় বদল আসে। বামেদের হটিয়ে ২০১০-এ বোর্ডের দখল নেয় তৃণমূল। ২০১৫-তেও বোর্ড ছিল শাসক দলের হাতে। দু’বারই ঐতিহ্যের শহরে মেয়রের দায়িত্ব ছিল রাম চক্রবর্তীর হাতে। 


১৯৯৫ থেকে টানা এই নিয়ে ৬ বারের কাউন্সিলর তিনি। গঙ্গাপাড়ের ফরাসডাঙায় এবার ভোটের লড়াইয়েও সামনের সারিতে থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা রাম চক্রবর্তী। এবার জিতে তিনি ডবল হ্যাটট্রিক করলেন। চন্দননগর মহকুমার মধ্যে পড়ে সিঙ্গুর। সিঙ্গুর আন্দোলনের অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের সাক্ষী ছিলেন রাম চক্রবর্তী। আসন সংরক্ষণের কারণে এবার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই লড়েন  রাম চক্রবর্তী। চেনা জমিতে ঘাসফুল ফুটিয়ে দলীয় নেতৃত্বের মুখা হাসি ফোটালেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা। 


চন্দননগরে ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩১টিতেই জিতেছে ঘাসফুল শিবির। ফের চন্দননগর পুরসভা হাতে আছে তৃণমূলের।  একটি ওয়ার্ডে জিতে একমাত্র বিরোধী বলতে এখন সিপিএম। খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। আর গেরুয়া শিবিরকে পিছনে ফেলে অধিকাংশ ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে বামেরা।  একমাত্র বিরোধী বলতে সিপিএম। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয় পেয়েছে তারা। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বিধাননগরের মতো চন্দননগরেও বিজেপিকে পিছনে ফেলে ২ নম্বরে উঠে এসেছে বামেরা। চন্দননগর পুরসভায় ২৮টা আসনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা।