সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়,হুগলি : এবারও দশমীর দিন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে চন্দননগর। ভূগর্ভস্থ কেবল বসানোর কাজ শুরু হবে ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে। জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে রিভিউ মিটিং এসে বললেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)।


এদিন চন্দননগরে জ্যোতিরিন্দ্র সভা গৃহে জেলা প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারীকদের নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, ডব্লিউবিএসইডিসিএল-র চেয়ারম্যান শান্তনু বসু, হুগলি জেলা শাসক পি দীপাপ প্রিয়া,চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি, চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী,পুর কমিশনার স্বপন কুন্ডু সহ প্রশাসন ও বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার আধিকারিকরা।


মিটিং শেষে বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেন, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো জগদ্বিখ্যাত। দিন দিন এর পরিধি বেড়েছে, বিদ্যুতের লোড বেড়েছে। মন্ত্রী তথ্য দিয়ে বলেন,২০১১ সালে ১৪৫ টা পুজো আবেদন করেছিল ২০২২ সালে করেছে ২২১ টা পুজো।৫২ শতাংশ পুজো বেরেছে।২০১১ সালে বিদ্যুৎ এর লোড ছিল ২.৭২ মেগা ওয়াট ২০২২ সালে ১৮৮ শতাংশ বেড়ে সেটা হয়েছে ৭.৮ মেগা ওয়াট।চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোয় সর্বোচ্চ পাওয়ার প্রয়োজন হত ৩৮.৯৬ মেগা ওয়াট।এবার ৫০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হবে।


তিনি আরও বলেন, ৯৭.৮ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষমতা রয়েছে ডব্লিউ বিডিসিএল এর।তাই বিদ্যুতের চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে গেলেও কোনও সমস্যা হবে না।জগদ্ধাত্রী পুজো চলার সময় যাতে বিদ্যুতের কোনওরকম সমস্যা দেখা দেয়, সেই কারণে ৬৬৫ জন কর্মী দিন রাত কাজ করবেন। ১৩ টা অফিস খোলা থাকবে। ৪১ টি মোবাইল ভ্যান ঘুরবে।


নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখতে সমস্ত দপ্তরের সঙ্গে মিটিং করা হয়েছে। কোথায় তার কোথায় বিদ্যুৎ পোস্ট সরানো থাকলে সেগুলো করা হয়েছে।গত দু'বছর করোনার জন্য শোভাযাত্রা করা যায়নি। এবার শোভাযাত্রায় এবং দিনের বিসর্জনের জন্য সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে চন্দনগর। বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ পরিষেবা। তবে জলের পাম্প চালু রাখা হবে। থাকবে জেনারেটরের ব্যবস্থা।


গত বছরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল চন্দননগরে বিদ্যুৎ সমস্যা মিটিয়ে এবার দশমীতে বিদ্যুৎ পরিষেবা চালু থাকবে। ভূগর্ভস্থ কেবল বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে।যে কাজের জন্য ১০৫ কোটি টাকা অনুমোদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিদ্যুৎ মন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন ডিসেম্বরের শেষ নয়তো জানুয়ারির শুরুতে এই কাজ শুরু হবে। আগামী বছর আর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকবে না চন্দননগর। জগদ্ধাত্রী পুজোর চারদিন চন্দননগর স্বাগত লজে স্পেশাল ক্যাম্প করা হবে যেখানে একশো জন বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিক থাকবেন নজরদারি করার জন্য।


 আরও পড়ুন, শত্রুঘ্নর পর 'নিখোঁজ'-র পোস্টার পড়ল এবার অগ্নিমিত্রার নামেও !


বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কোনও সমস্যা দেখা দিলে সাধারন মানুষ, চন্দননগরবাসী, দর্শনার্থীরা যাতে বিদ্যুৎ দপ্তরে খবর দিতে পারেন বা কোনও সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারেন, সেই কারনে টোল ফ্রি নম্বর ১৯১২১ এবং কন্ট্রোল রুম নম্বর ৮৯০০৭৯৭৪১৭ চন্দননগরের সর্বত্র ডিসপ্লে করা থাকবে। দুর্গাপুজোয় কমিটি গুলোকে ষাট হাজার টাকা অনুদানের পাশাপাশি বিদ্যুৎ-এর বিলে ষাট শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল।চন্দননগরের ক্ষেত্রে সেরকম কোনও চিন্তাভাবনা আছে কিনা এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান বিদ্যুৎ মন্ত্রী।