কৌশিক গাঁতাইত,আসানসোল : আসানসোলের সাংসদের পর, আসানসোল দক্ষিণের বিধায়কের নামে পড়ল 'নিখোঁজ'-র পোস্টার। আজ্ঞে হ্যাঁ,  আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ (Asansol TMC MP) শত্রুঘ্ন সিন্হার (Shatrughan Sinha) বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ার পর এবার 'নিখোঁজ'-র পোস্টার পড়ল অগ্নিমিত্রার (Agnimitra Paul) নামেও। 


প্রসঙ্গত, উপনির্বাচনে বিজেপির দু’বারের জয়ী কেন্দ্র ছিল আসানসোল। স্বাভাবিকভাবেই এবার জিতলে হ্য়াট্রিক আনত। তবে সেখানে মাস্টার স্ট্রোক ছিল, তৃণমূলের তরফে পদ প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা। একটু, আধটু নয়, বেশ বড় ভোটের ব্যবধানে সেখানে জয় এনেছেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা। ভোটের ফলাফলের পর, 'সরি মোদি স্যার, চেষ্টা করেও এই আসন আপনাকে দিতে পারলাম না', যা নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীকে টুইট করেও জানিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। স্বাভাবিকভাবেই বিধানসভা জিতলেও লোকসভা যাওয়া হয়নি অগ্নিমিত্রার। যদিও লড়াই জারি রাখার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন সেবার তিনি টুইটে। তবে ভোটের পর ইতিমধ্যেই গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বেরিয়ে গিয়েছে। জেলে গিয়েছেন পার্থ-অনুব্রতরা। পেরিয়েছে দুর্গা পুজো, লক্ষ্মী পুজো। সামনে এবার ছট পুজো। আর এমন এক ডাইমেনশনেই,   আসানসোলের গোপালপুরে অগ্নিমিত্রার নামেও পড়ল 'নিখোঁজ'-র পড়ল পোস্টার। যদিও এই ঘটনায়, বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বের জের বলে কটা করেছে তৃণমূল। এদিকে 'তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ', বলে পাল্টা দাবি বিজেপির।


আসানসোল উত্তর, তৃণমূল ব্লক সহ সভাপতি ভানু বোস বলেন, 'দেখুন পোস্টারের সত্যি মিথ্যে ওদের দলের লোকেরাই বলতে পারবে। কারা পোস্টার মেরেছে, কাকে দেখতে পাওয়া যায় না। এই সব কিছু গোটা ভারতবর্ষে তার নিজেরাই বানাচ্ছে , নিজেরাই করছে। সমস্ত ওদের বানানো ছক। ভাল খবর নিন, ওদেরই দলের লোকেরাই পোস্টার মেরে দিয়েছে', বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি, বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলের যারা নিজেদেরকে আরও বড় নেতা প্রমাণ করতে চান, তার আরেকটি পোস্টার বার করলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের বিরুদ্ধে বলে দাবি করেন তিনি।


আরও পড়ুন, 'পশ্চিমবঙ্গে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হচ্ছে', ফের ডিয়ার লটারি নিয়ে সরব শুভেন্দু


 অবশ্য এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। শত্রুঘ্ন সিন্হা-র বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তেই, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'উনি মন্ত্রী থাকতেও বিদেশে ঘুরতেন। সাংসদ থাকতেও তাই। তাঁকে যাঁরা পছন্দ করেছেন, তাঁদের এটা মেনে নিতেই হবে। সেইজন্য উনি বিজেপিতে টিকতে পারেননি। কারণ, এখানে খেটে কাজ করে, লোকের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করতে হয়। যে পার্টিতে উনি গেছেন, সেই পার্টিতে অনেক নেতা-কর্মী নিখোঁজ আছেন। অনেকে ভেতরে চলে গেছেন। সেই কালচারের লোক। ঠিকই আছে।'