সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: প্রেমে (love) বাধা (resistance) দিয়েছিল পরিবার (family)। অভিযোগ, তার জেরে আত্মঘাতী (suicide) হলেন প্রেমিক-প্রেমিকা (couple)। মৃতদের এক জন প্রাপ্তবয়স্ক (adult) হলেও দ্বিতীয় জন নাবালিকা (underage)। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হরিপাল (haripal) থানার মালিয়া গ্রামে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। দুজনেই হরিপাল থানা এলাকার বাসিন্দা।
কী ঘটেছিল?
হামিরাগাছি ব্রাহ্মণপাড়ার একটি বাঁশবাগানে ওই যুগলকে আজ সকালে একই দড়িতে ঝুলতে দেখা যায়। মৃত তরুণের বাড়ির অদূরেই ওই বাঁশবাগান। পড়শিদের দাবি, দুজনের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠতা। কিন্তু বাড়ির লোকজন এই সম্পর্ক মানতে চাননি। ২০২০ সালে দুজনে একবার পালিয়েও গিয়েছিল। সেই সময় তরুণের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ করে পরিবার। পুলিশ দুজনকে উদ্ধার করে। কিন্তু ওই ঘটনায় তিন মাস জেলে ছিলেন তরুণ। তার পরও দুজনের সম্পর্ক ভাঙেনি, জানাচ্ছেন পড়শিরা। যোগাযোগও ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, মাঝেমধ্যে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে কিশোরী কয়েকদিন করে থেকে আসত। এবারও সেই জন্যই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তাও দিনচারেক আগেকার ঘটনা। কিন্তু তার পর যে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হবে, সে কথা ভাবতে পারেননি কেউ। কার্যত এক অবস্থা তরুণের পরিবারেও। শোকে বিহ্বল দুই বাড়ি। কথা বলার ভাষাটুকুও হারিয়েছেন তাঁরা। এলাকাতেও বিষণ্ণতার ছায়া। জলজ্যান্ত দুটো প্রাণ এভাবে চলে যাওয়ার ধাক্কা সামলাতে পারছেন না পড়শিরাও।
ভয়ঙ্কর ঘটনা আগেও...
প্রণয়সম্পর্ক ঘিরে মর্মান্তিক ও ভয়ঙ্কর ঘটনার অভিযোগ নতুন নয়। অক্টোবরের গোড়াতেই শিউরে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছিল হুগলির চুঁচুড়ায়। নাবালিকা মেয়ের প্রেমে আপত্তি থেকে প্রেমিককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানোর অভিযোগ উঠেছিল নাবালিকার মা-বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনার ভাইরাল ভিডিও ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। পরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। অভিযুক্ত দম্পতি পলাতক। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর সতেরোর নাবালিকার সঙ্গে বছর কুড়ির ওই তরুণের বছর দুয়েক ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বাড়ি থেকে বেশ কয়েকবার পালায় ওই যুগল। শেষবার হোমে ঠাঁই হয় কিশোরীর। প্রেমিককে পাড়ায় ঢুকতে নিষেধ করে প্রেমিকার পরিবার। অভিযোগ, নিষেধ অগ্রাহ্য করে পাড়াতেই আটাকলে কাজ করছিল ওই তরুণ। গতকাল ধারাল অস্ত্র নিয়ে তরুণের ওপর চড়াও হয় প্রেমিকার মা-বাবা। এলোপাথাড়ি কোপে মৃত্যু হয় ওই তরুণের।
আরও পড়ুন:অমিত শাহের বাড়িতে ৫ ফুটের সাপ, ত্রস্ত নিরাপত্তাকর্মীরা, তারপর...