সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, সোমনাথ মিত্র ও কমলকৃষ্ণ দে, ডানকুনি: ওভারলোড বন্ধের দাবিতে অভিনব ট্রাক মিছিল ডানকুনি থেকে বর্ধমান। ফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রাক অপারেটারস্ অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে হুগলি জেলা কমিটির নেতৃত্বে ট্রাক নিয়ে মহা মিছিল। ডানকুনি টোল প্লাজা থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেস হাইওয়ে দিয়ে পূর্ব বর্ধমানের নবাবহাট বাসস্ট্যান্ডের পর্যন্ত যায়। সেখানে গিয়ে জেলা শাসককে ডেপুটেশন দেবে ট্রাক মালিকরা।গত ৩০ শে জুলাই ওভারলোড বন্ধ নিয়ে রাজ্য সরকার নোটিফিকেশন জারি করে। সেখানে বলা হয়েছে ওভারলোড ধরা পড়লে কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা হবে এবং টন প্রতি দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হবে। এভাবে তিনবার জরিমানা করার পর ট্রাকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে।


রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ট্রাক মালিকরা। তবে তাদের অভিযোগ যে এখনও ষাট-সত্তর শতাংশ ট্রাকে ওভারলোড বন্ধ হয়নি।ফলে যারা সরকারি নির্দেশ মেনে চলছে তারা ক্ষতির মুখে পরছে। ওভারলোড বন্ধ করতে গেলে লোডিং পয়েন্টের নজরদারি করতে হবে এবং সেখানেও জরিমানা করতে হবে বলে মনে করেন ট্রাক মালিকরা। ট্রাক সংগঠনের দাবি লোডিং পয়েন্ট থেকে ওভারলোড বন্ধ করতে হবে, ট্রাফিক পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ার এম ভি আই ও ডাকপার্টির একাংশের জুলুম বন্ধ করতে হবে। করোনাকালে যেসমস্ত ট্রাক ট্যাক্স জমা করতে পারেনি তাদের ট্যাক্স মুকুব করতে হবে। জেলা শাসকের মাধ্যমে তাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী কাছে পৌঁছে দিতে চায় ট্রাক সংগঠন। এদিনের ট্রাক মিছিলে হাওড়া, হুগলি,পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর,কলকাতা সহ কয়েকটি জেলার শতাধিক ট্রাক অংশ নেয়।


ওভারলোডেড লরির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে পরিবহণ দফতর। বাড়ানো হয়েছে জরিমানার পরিমাণ। আর এই কড়া ব্যবস্থা নিতেই ফল মিলেছে হাতেনাতে। ওভারলোডেড গাড়ির সংখ্যা কমাতে জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে দশ গুণ। আর এর ফলেই এক ধাক্কায় আইনভাঙা গাড়ির সংখ্যা কমল ৩৫ শতাংশ। 


অভিযোগ কী? সরকারি অনুমতি যতটা আছে, তার থেকে অনেক বেশী পরিমাণ সামগ্রী নিয়ে ছুটে চলে একাধিক লরি বা ট্রাক। কলকাতা সহ রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই এমন ছবি প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়। এর জেরে যেমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে, তেমনই বোঝাই লরির অতিরিক্ত চাপে ক্ষতি হয় রাস্তারও। অনেক চেষ্টাতেও এই সমস্যার সমাধান হচ্ছিল না। তাই এই সমস্যা দূর করতে সম্প্রতি জরিমানার পরিমাণ বেশ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় পরিবহণ দফতর। পয়লা অগাস্ট থেকে ওভারলোডেড গাড়িতে জরিমানা ২ হাজার টাকা থেকে দশ গুণ বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। আবার একই লরি যদি দ্বিতীয় বার ধরা পড়ে, তাহলে ওভারলোডিংয়ের জন্য জরিমানার পরিমাণ করা হয়েছে ৪০ হাজার টাকা।