সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর : তাঁর হাত ধরেই কয়লাখনি এলাকায় প্রথমবার পদ্ম সরিয়ে ফুটেছে ঘাসফুল। ৩ লক্ষেরও বেশি মার্জিনে আসানসোল থেকে জিতেছেন। তাঁকে দাঁড় করিয়ে উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রথমবার শুধু আসানসোল কেন্দ্রে বিজেপির থেকে জয়-ই ছিনিয়ে নেয়নি, বিজেপির জয়ের মার্জিনের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে। এহেন শত্রুঘ্ন সিন্হার (Shatrughan Sinha) সঙ্গে দিন দিন সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে এরাজ্যের। কাজেই বাঙালির সর্ব শ্রেষ্ঠ উৎসবে যে তিনি সামিল হবেন একথা বলাইবাহুল্য ! শ্রীরামপুরে গাঁধী ময়দানে সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জির ( Kalyan Banerjee) দুর্গাপুজোয় এলেন আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। ৫ ও ৬ এর পল্লির গাঁধীমাঠের পুজোয় একসঙ্গে ঢাক বাজাতেও দেখা যায় তাঁদের।
কী বললেন শত্রুঘ্ন ?
পুজোয় যোগ দিতে এসে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শত্রুঘ্ন বললেন, "কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আসানসোলে আমাদের জয় হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জয়। মা দুর্গার আশীর্বাদে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি তৈরি হচ্ছে আমার। আগামী দিনে এঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখব। তৃণমূলের সঙ্গে এক যোগে চলব। এই পুজোয় আসতে পেরে আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।" কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখবেন বলে জানান তিনি।
এর পাশাপাশি দুর্গাদুর্গাপুজো" href="https://bengali.abplive.com/district/tmc-shahid-diwas-2022-shatrughan-sinha-attacks-narendra-modi-government-saying-dictatorship-has-taken-the-place-of-democracy-904914" data-type="interlinkingkeywords">পুজোকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ার পেছনে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ঠবাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এটা সম্ভব হয়েছে। এতে শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশ গৌরবান্বিত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে প্রত্যাশা, সেই প্রত্যাশা মতো কাজ করে যাব সাংসদ হিসাবে। এখানকার মানুষকে বুকে জড়িয়ে রাখব। বাংলা সর্বধর্ম সমন্বয়ে থাকে। বাংলার মানুষ থাকে সমস্ত শহর । এই প্রদেশের মানুষ এখানে মিলেমিশে থাকে।"
এর আগে ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ স্মরণ সমাবেশে যোগ দিতে এসেও আবেগে ভেসেছিলেন ‘বিহারিবাবু’ শত্রুঘ্ন সিন্হা । বাংলায় এসে অফুরন্ত ভালবাসা পাওয়ার কথা বলেছিলেন। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে তীব্র আক্রমণ করেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। দেশে এখন স্বৈরাচার চলছে বলে দাবি করেন তিনি। বিজেপি ছাড়তে কেন বাধ্য হন, তা-ও বিশদে ব্যাখ্যা করেন শত্রুঘ্ন। তিনি বলেন, ‘‘নোটবন্দির চেয়ে বড় দুর্নীতি এ যাবৎ হয়নি দেশে। জিএসটি দুর্নীতি, অগ্নিবীর নিয়েও দুর্নীতি হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। বেকার যুবকদের ধরে ধরে নিজেদের স্বার্থে চার বছরের জন্য ব্যবহার করছে। চার বছর পর নাকি ৭৫ শতাংশকে ছেঁটে ২৫ শতাংশকে রেখে দেওয়া হবে! নিজেদের লোক, দলের লোক নয় তো এই ২৫ শতাংশ!’’
আরও পড়ুন ; ‘অটলজির আমলে গণতন্ত্র ছিল, আজ শুধু স্বৈরাচার’, কলকাতায় দাঁড়িয়ে মোদিকে নিশানা শত্রুঘ্নর