হুগলি: আলুর মরশুমে সারের কালোবাজারি রুখতে এবার সারের দোকানে হানা দিল ইবি। হুগলির সিঙ্গুরে একাধিক সারের দোকানে অভিযান চালায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (EB)। সারের দাম নির্ধারিত মূল্যের থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বেআইনি মজুত আছে কিনা তাও যাচাই করে দেখেন আধিকারিকরা।


বিক্রেতাদের রেট চার্ট ঝুলিয়ে রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়। সার নির্ধারিত মূল্যের থেকে বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন চাষিরা। এইসব অভিযোগ মেলার পর অভিযানে নামে ইবি। অন্যদিকে, মালদার নারায়ণপুরে পাচারের সময় উদ্ধার হল লরি ভর্তি সার। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, লরিতে করে প্রায় ৭ লক্ষ টাকার ২৫ টন সার দক্ষিণ দিনাজপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লরিটিকে হাতে নাতে ধরেন জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ডিলারদের ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, প্রায় প্রতিবছরই সল্টলেকের বিভিন্ন বাজারে ইবি (EB) আধিকারিকদের হানার খবর প্রকাশ্যে আসে। মূল্যবৃদ্ধি ও কালোবাজারি রুখতে হানা দেয় ইবি আধিকারিকরা। ব্যারাকপুরের বাজারেও হানা দিয়েছিল ইবি আধিকারিকরা। বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ইবির আধিকারিকরা। যদিও অতিরিক্ত বৃষ্টি ও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিই দাম বাড়ার কারণ, দাবি ব্যবসায়ীদের।


প্রসঙ্গত, চলতি বছরে আরও একটি অভিযোগ ওঠে জলপাইগুড়িতে। যদিও সেটা সার নিয়ে নয়, আলুর বন্ড নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ তোলে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) কৃষকদের একাংশ। মার্চ মাসে বন্ডের অভাবে আলু হিমঘরে রাখা নিয়ে তৈরি হয়েছিল অচলাবস্থা। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) আগে এই অভিযোগকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে বিঁধেছিল সিপিএম (CPIM)। যদিও সেসময় বিতর্কের মুখে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব।


আরও পড়ুন, জয়নগরে পুলিশের সঙ্গে বচসা, 'ত্রাণ' না দিয়েই ফিরতে হল Congress-কে 


জমি থেকে আলু তোলার পর মাঠেই পড়ে ছিল বস্তা। একদিকে বৃষ্টির কোপ। যার ফলে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কষ্ট করে ফলানো ফসলের এমন অবস্থা দেখে মাথায় হাত ওঠে কৃষকদের। সমস্যার জন্য হিমঘরের (Cold storage) পরিকাঠামো নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন কৃষকরা। অভিযোগ, হিমঘরে রাখার জন্য আলুর বন্ড না পেয়ে বছরের শুরুতেই বিরাট অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন জলপাইগুড়ির আলুচাষিরা।