সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: বারাণসীর (Benaras) ধাঁচে কলকাতায় (Kolkata) গঙ্গা আরতি (Ganga Arati) চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee। সম্প্রতি তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, ‘কেন আমাদের রাজ্যে গঙ্গা আরতির আয়োজন করা যাবে না?' এবার কোন্নগরের (Konnagar) বারো মন্দির (Baro Mandir) ঘাটে আজকে থেকেই প্রত্যেকদিন সন্ধ্যা আরতি শুরু হল গঙ্গায়। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণার পরেই গঙ্গা আরতি ভাবনা নেওয়া হয়েছে কোন্নগর পৌরসভার পক্ষ থেকে। যদিও এর আগেও মন্দিরের এই ঘাটে আরতি হত। তবে পরে তা বন্ধ হয়েও যায়।
কলকাতায় এবং জেলাগুলির গঙ্গা ঘাটে ফের গঙ্গারতি চালুর কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “ আমাদের দেখতে হবে যে, যেখানে লোক পড়ে যাবে না, সব ব্যবস্থা করে, তাতে আমার দু’বছর সময় লাগলে কিছু যায় আসে না, বা লোকে যাতে পড়ে না যায়, আরতিটা দেখতে পায়, এমন একটা জায়গায় করতে হবে যেখানে মন্দির আছে, যেখানে একটু বসার জায়গা আছে, যেখানটা লোকে মনে করে শান্তির পীঠস্থান, সেরকম জায়গা দেখে কিন্তু এটা কলকাতা পুরসভাকে আমি একটা দায়িত্ব দিচ্ছি করার জন্য।”
আরও পড়ুন, ডিএ আন্দোলনে হাইকোর্টের কয়েকজন কর্মী গ্রেফতার, 'দুর্ভাগ্যজনক', মন্তব্য বিচারপতির
যদিও কলকাতার গঙ্গার ঘাটের অবস্থা দেখে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। এরপরই তত্পর হয় কলকাতা পুরসভা। মমতার নির্দেশের পরের দিন সকাল থেকেই গঙ্গার ঘাটে কাজ শুরু করেন পুর কর্মীরা। আলো লাগানো থেকে শুরু করে জঞ্জাল পরিষ্কারের পাশাপাশি, ফুটপাতের পেভার ব্লক মেরামত করা হয়। যে সমস্ত জায়গায় গাছের গোড়ায় বাঁধানো অংশে ফাটল ধরেছে, সেগুলিও মেরামত করারও কাজ শুরু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর গঙ্গারতি দেখতে সেখানে ছুটে যান বহু মানুষ। কয়েকমাস আগে উত্তরপ্রদেশ সফরে গিয়ে বারণসীর গঙ্গারতি দেখতে গেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এবার যোগী-রাজ্যের কথা উল্লেখ করেই, কলকাতায় সেই ধাঁচে গঙ্গারতির ব্যাপারে উদ্যোগী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।