সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: মামারবাড়িতে অনেক মজা অনেক আদর। মামাবাড়ি নাম শুনলেই ৮ থেকে ৮০-র এই কথাটাই বোধহয় নাড়া দেয়। গাছ থেকে কুল পেড়ে খাওয়া হোক, কিংবা  অপুর মতো তীর ধনুক খেলা। কিন্তু এই নস্টালজিয়াতেই বোধহয় এবার ঢোক গিলতে হবে। কারণ  মামাবাড়িতে গিয়েই মর্মান্তিক হল হুগলিতে  (Hooghly Tragic Incident)। ফেরা হল না আর বছর ৫-র শিশুকন্যার (Child Death)। এয়ারগানের গুলি ছিটকে বুকে লেগে মৃত্যু হল এক শিশুর।  


মামার বাড়িতে গিয়ে এয়ারগানের গুলি ছিটকে গেল শিশুকন্যার বুকে...


স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পান্ডুয়ার দে পাড়ার বাসিন্দা জামশেদ আলি পান্ডুয়া থানার একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার।তার পাঁচ বছরের শিশু কন্যা জুমানা হায়াত। পাশেই তাঁর মামার বাড়ি। আজ বিকালে মামা সাইফার রহমানের বাড়ি যায় সে।মামার পাখি মারার বন্দুক নিয়ে খেলা করার সময় গুলি ছিটকে বুকে লাগে।সঙ্গে সঙ্গেই শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে।পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে পান্ডুয়া গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়।অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সেখান থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।সেখানে চিকিৎসারা জানান,' শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।'


৫ বছরের শিশুকন্যার ছোট্ট আঙুল কীভাবে গেল এয়ারগানের ট্রিগারে ?


মৃত শিশুর জেঠিমা রেশমা সুলতানা বলেন, 'শিশুটি সবে মামার বাড়ি গেছে।আর কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ঘটনা।মামার পাখি মারা বন্দুক থেকে গুলি ছিটকে বুকে লাগে। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে পড়ে। আমাদের গাড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কী করে হল সেটা বলতে পারব না।' পান্ডুয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটি খেলা করছিল।তখন কোনওভাবে এয়ার গানের ট্রিগারে চাপ পড়ে যায়। গুলি ছিটকে লাগে। শিশুটির বাবা পান্ডুয়া থানায় সিভিক ভলেন্টিয়ার। ঘটনায় শোকের ছায়া শিশুটির পরিবারে। 


আরও পড়ুন, দল থেকে সাসপেনশনের পরেই গ্রেফতার সন্দেশখালির উত্তম সর্দার


খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর আরও ঘটনার উদাহরণ রয়েছে


খেলতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর আরও ঘটনার উদাহরণ রয়েছে। রাজ্যের বুকে বোমাকে বল ভেবে শিশুমৃত্যুর ঘটনার সাক্ষী এরাজ্য। এখানেই শেষ নয়, অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, অভিভাবকদের নজরের আড়াল হলেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয় শিশুরা। এর উদাহরণ কলকাতার মৌলালি থেকে শুরু করে বর্ধমানও রয়েছে। পাশাপাশি মোবাইলে গেম খেলতে গিয়েও মর্মান্তিক দুর্ঘটনার উদাহরণও রয়েছে। আর এবার ফের সবার অলক্ষ্যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী হল হুগলি জেলা।