সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলী: রক্ষণাবেক্ষণ এবং নজরদারির অভাবে গত ৯ সেপ্টেম্বর বৈদ্যবাটি বনমালি মুখার্জি ইনস্টিটিউশন হাইস্কুলের (Baidyabati) সানশেড ভেঙে পড়তে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের তৎপরতাতেই বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। অবশেষে আজ স্কুল পরিদর্শনে যান প্রশাসনের কর্তারা। ছাদে জল জমার কারণেই যে এই দুরবস্থা, তা স্বীকারও করে নেন তাঁরা। 


আরও পড়ুন - Weather Update: ওড়িশায় স্থলভাগে ঢুকল গভীর নিম্নচাপ, দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস


করোনা (Covid19) আবহে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল। বন্ধ থাকলেও শুধুমাত্র মিড ডে মিলের জন্য শিক্ষকরা আসেন স্কুলে। এছাড়াও দুয়ারে সরকার শিবিরেরও আয়োজন করা স্কুলে স্কুলে। তেমনই বৈদ্যবাটি বনমালি মুখার্জি ইনস্টিটিউশন হাইস্কুলেও কিছুদিন আগেই দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়া পড়ুয়ারা না আসায় বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে স্কুলের অধিকাংশ ঘর। জানা গিয়েছে, স্কুল বন্ধ থাকায় কোনওরকম দেখভাল করা হয়নি স্কুল বাড়িটির। ধুলোয় ভরে রয়েছে গোটা স্কুল বাড়ি। শুধু অফিশিয়াল কাজের জন্য শিক্ষকরা স্কুলে আসেন। তার জন্য খোলা হয় কয়েকটি মাত্র ঘর। ফলে পড়ুয়ারা স্কুলে না যাওয়ায় কার্যত অনাদরে স্কুল ভবন। এছাড়াও দীর্ঘদিন কোনও সংস্কার না হওয়ার কারণে ঘরের ছাদের প্লাস্টার খসে খসে পড়ছে। আরও খারাপ অবস্থা সানশেডগুলির। গত ৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাতই দেখেন যে, স্কুলের দোতলার সানশেড বিপজ্জনকভাবে ভেঙে ঝুলছে। তাঁরা তৎপর হয়ে নিজেরাই খবর দেন দমকলে। দমকলের কর্মীরা এসে বিপজ্জনক সানশেড ভেঙে পরিস্কার করেন।


আরও পড়ুন - Arambag: মোবাইল গেমে প্রবল আসক্তিতে বিপর্যয়, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা যুবকের


সূত্রের খবর, পুজোর আগে স্কুল খোলা যায় কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে সরকার। এই অবস্থায় বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বৈদ্যবাটি বনমালি মুখার্জি ইনস্টিটিউশন হাইস্কুল। আজ অবশেষে স্কুল পরিদর্শনে যান প্রশাসনের কর্তারা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী, হুগলী জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহবুব লহমান, কর্মাধ্যক্ষ মনোজ চক্রবর্তী এবং স্কুল পরিদর্শক ও পুরসভার প্রতিনিধিরা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমরনাথ ঘোষাল জানিয়েছেন যে, দেড় বছর ধরে স্কুল বন্ধ থাকায় নজরদারীর অভাব রয়েছে। এছাড়া শতবর্ষ প্রাচীন স্কুলের কয়েকটি ঘরের ছাদেরও প্লাস্টার খসে পড়ছে। ন বছর আগে একবার স্কুলে রং করা হলেও তারপর থেকে আর কোনওরকম সংস্কারের কাজ হয়নি। পাশাপাশি সানশেডগুলির দুরবস্থা তাঁদের চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি প্রশাসনের কর্তারাও কার্যত স্বীকার করে নিলেন নজরদারির অভাবের কথা। স্কুল খোলার আগেই যাতে সংস্কার করা যায়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানোরও আশ্বাস দেন তাঁরা।