সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর : নয়ানজুলি সংস্কারের কাজ চলাকালীন পাচার হয়ে যাচ্ছে তাল তাল মাটি। তা দেখেও উদাসীন পুরসভা, প্রশাসন। তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেছেন দলেরই এক নেতা। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
হুগলির (Hooghly) শ্রীরামপুরে (Srirampore) দিল্লি রোডের পাশে চলছে নয়ানজুলি সংস্কারের কাজ। চওড়া ড্রেন বানাচ্ছে তৃণমূল পরিচালিত বৈদ্যবাটি পুরসভা (Baidyabati Municipality)। কিন্তু, নয়ানজুলি সংস্কারের অজুহাতে, এখান থেকেই পাচার হয়ে যাচ্ছে তাল তাল মাটি। এমনই অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতা! ঘটনা ঘিরে সরগরম হুগলির শ্রীরামপুর।
কী অভিযোগ তুলছেন তৃণমূল নেতা ?
স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা পেয়ারাপুর পঞ্চায়েতের সদস্যের অভিযোগ, বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনলেও, কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পেয়ারাপুর পঞ্চায়েতের সদস্য ও তৃণমূল নেতা সুদর্শন বর বলেন, দিল্লি রোডের পাশের জমির মাটি অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। একটি পেট্রোল পাম্পকে সরকারি জমি বেচে দেওয়া হয়েছে। আমরা বলতে গেলে বলা হয়, প্রশাসন ব্যাপারটা দেখছে। আর গত কয়েকদিন ধরে নয়ানজুলি সংস্কারের নামে মাটি কেটে বিক্রি করছে দুষ্কৃতীরা।
এনিয়ে শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগও জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা। যদিও মাটি পাচারের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল পরিচালিত বৈদ্যবাটি পুরসভা। বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা পিন্টু মাহাতো বলেন, প্রতি বছরই বর্ষার আগে জমা জলের হাত থেকে রেহাই পেতে নয়ানজুলি সংস্কার করা হয়। জেসিবি দিয়ে পাঁক তোলা হয়। সেই পাঁক অনেকে নিয়ে যান। এখানে মাটি চুরির কোনও বিষয় নেই।
এনিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, মাটি কাটা নিয়েই তো সমস্যা। অর্ধেক জায়গায় কাটা হচ্ছে না, অথচ মেশিন দিয়ে কেটে তার টাকাটা পার্টি নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সেখানে একজনের সঙ্গে আর একজন তৃণমূল নেতার বিরোধ তো লাগবেই।
এদিকে এই ঘটনায় ২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ। আটক করা হয়েছে দুটি ট্রাক্টর।