সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলী: ভেঙে ভেঙে পড়ছে স্কুলের সানশেড। যেকোনও সময়ে ঘটে যেতে পারত বড়সড় দুর্ঘটনা (Accident)। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় এড়ানো গেল দুর্ঘটনা। ঘটনাটি ঘটেছে বৈদ্যবাটির (Baidyabati) বনমালি মুখার্জি ইনস্টিটিউশন হাইস্কুলে। 


স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত স্কুল। বন্ধ বৈদ্যবাটির বনমালি মুখার্জি ইনস্টিটিউশন হাইস্কুলও। বন্ধ রয়েছে স্কুলের পঠন পাঠন। পড়ুয়ারা স্কুলে না যাওয়ায় অনাদরে পড়ে রয়েছে স্কুল ভবন। অফিশিয়াল কাজের জন্য স্টাফ রুম এবং আরও দু-একটা ঘর খোলা হলেও বেশিরভাগ ঘরই বন্ধ। ফলে ধুলো জমেছে স্কুল বাড়িতে। দীর্ঘদিন ধরে কোনও পরিচর্যা না হওয়ায় স্কুল বাড়ির জীর্ণ অবস্থা। বৃহস্পতিবার রাতে হঠাতই স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে যে স্কুল বাড়ির সানশেড ভেঙে পড়ছে। শুধু তাই নয়, বিপজ্জনকভাবে দোতলার সানশেড ভেঙে ঝুলতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে প্রথমেই দমকলে খবর দেওয়া হয়। দমকল এসে দোতলার ঝুলে থাকা সানশেড ভেঙে দিতে গেলে স্কুল গেটের উপরের একতলার সানশেডের উপর তা পড়ে ভেঙে যায়। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় একতলার সানশেডও। শুধু তাই নয়, দমকলের কর্মীরা দেখতে পান স্কুল বাড়িটির বিভিন্ন জায়গায় বিপজ্জনকভাবে চাঙড় খসে পড়ে লোহার খাঁচা বেরিয়ে পড়েছে। তাঁরা কোনওক্রমে ভাঙা সানশেডের রাবিশ সরিয়ে দেন। 


আরও পড়ুন - Weather Updates: ফের নিম্নচাপের ভ্রুকুটি বঙ্গোপসাগরে, রবিবার থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের একাংশে


বৈদ্যবাটির বনমালি মুখার্জি ইনস্টিটিউশন হাইস্কুলের এই জীর্ণ অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমরনাথ ঘোষাল। তিনি জানাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ থাকায় নজরদারির অভাব দেখা দিয়েছে। একশো বছরেরও বেশি পুরনো এই স্কুল। এর আগে স্কুলের কয়েকটা ঘরেও প্লাস্টার খসে পড়েছিল। কিন্তু সানশেডের দুরাবস্থা তাঁদের নজরে আসেনি। বছর নয়েক আগে একবার স্কুল বাড়িতে রং করা হয়েছিল। তারপর আর কোনও সংস্কারই হয়নি শতবর্ষ প্রাচীন এই স্কুলের। তবে, চলতি বছরেরই ৫ সেপ্টেম্বর স্কুলের মাঠে দুয়ারে সরকার শিবির বসেছিল। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। বিপদ ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল সেখানেও। পাশাপাশি স্কুল চলাকালীন সানশেড ভেঙে পড়ার এমন ঘটনা ঘটলে মারাত্মক বিপদ হয়ে যেতে পারত বলে স্বীকার করছেন প্রধান শিক্ষক।


দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা এবং পরিচর্যার অভাবে বৈদ্যবাটির বনমালি মুখার্জি ইনস্টিটিউশন হাইস্কুলের মতো অবস্থা আরও অনেক স্কুলেরই। ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।