সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: বলাগড়ের ডুমুরদহে ভেজাল দুধের কারখানার হদিশ। দুই মহিলা ও খাটাল মালিক-সহ গ্রেফতার ৩। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল অভিযান চালায় বলাগড় থানার পুলিশ। হাতেনাতে পাকড়াও করে খাটাল মালিক লক্ষ্মণ ঘোষকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত খাটাল মালিক জেরায় স্বীকার করেছেন, পরিমাণ বাড়াতে গরুর দুধের সঙ্গে মেশানো হত পাম তেল ও মনোপটাশিয়ামের মতো রাসায়নিক। সেই দুধ নামী ডেয়ারিতে পাঠানো হত। পাম তেল, ভেজাল দুধ, রায়াসনিক, দুধের ড্রাম, গাড়ি বাজেয়াপ্ত করেছে বলাগড় থানার পুলিশ।


উল্লেখ্য, চলতি মাসেই খাস কলকাতার এপিসি রোডে (APC Road) সরষের তেলের (Mustard Oil) জাল কারবারের হদিশ মেলে। সরষের তেলে ভেজাল মিশিয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল সেখানেও। এনফোর্স মেন্ট ব্রাঞ্চের (Enforcement Branch) অভিযানে বাজেয়াপ্ত হয় ৫৫০ লিটার তেল। সিল করে দেওয়া হয় গুদাম। তেলের নমুনা পাঠানো হয় ল্যাবরেটরিতে (Laboratory)। তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলে দাবি করেন গুদাম মালিকের।


বড়তলা থানা এলাকায় এনফোর্স মেন্ট ব্রাঞ্চের (Enforcement Branch)  অভিযান।  মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস তুলে প্রতি লিটারে সরষের তেলের দাম এখন ১৭৫ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে এদিন সকালে ভেজাল সরষের তেল (Contaminated Mustard Oil) মজুত করার অভিযোগ পেয়ে, বড়তলা থানা এলাকার এপিসি রোডের (APC Road) ধারে এই গোডাউনে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ।


স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এই গোডাউনে (Godown) নিম্নমানের তেলের সঙ্গে রাসায়নিক মেশানো ভেজাল সরষের তেল মজুত করা হত। তারপর গোডাউন থেকে সেই তেল চলে যেত বিভিন্ন বাজারে। গোপনসূত্রে সেই খবর পেয়ে এদিন এই গোডাউনে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (Enforcement Branch)।  বাজেয়াপ্ত করা হয় ৫৫০ লিটার ভেজাল সরষের তেল। পাশাপাশি গোডাউনটি সিল করে দেওয়া হয়। যদিও ভেজাল সরষের তেল মজুতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোডাউন মালিক। তাঁর পাল্টা দাবি, গোডাউনের জমিতে প্রোমোটিং করার জন্য স্থানীয় এক শ্রেণির বাসিন্দারা চক্রান্ত করছেন। এদিন বাজেয়াপ্ত ভেজাল মেশানো সরষের তেলের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।


সম্প্রতি রায়গঞ্জে ভেজাল মিড ডে মিল সরবরাহের অভিযোগ ওঠে। মিড ডে মিলের (Mid Day Meal) চালে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) রায়গঞ্জে (Raiganj)। অভিভাবকের অভিযোগ, মিড ডে মিলে প্লাস্টিকের চাল মেশানো হচ্ছে। এই চালের ভাত খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রায়গঞ্জের বিডিও (BDO)।


ধবধবে সাদা চাল। তবে আগুনের তাপে আনতেই পুড়ে কালো হয়ে যাচ্ছে। বেরোচ্ছে প্লাস্টিক পোড়া গন্ধ। মিড ডে মিলের চালে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। দীর্ঘ দু’বছর ধরে বন্ধ স্কুল। তবে  চালু রয়েছে স্কুলে স্কুলে মিড ডে মিল পরিষেবা। রান্না করা খাবারের বদলে কোভিড বিধি মেনে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে অভিভাবকদের হাতে। এবার সেই চালেই ভেজাল মেশানোর অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জে।