সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডানকুনি: ভিড়ে ঠাসা ট্রেন থেকে পড়ে যাত্রীর মৃত্যু। আজ সকালে এই ঘটনা ঘটেছে ডানকুনি ও বেলানগর স্টেশনের মাঝামাঝি হাজরাপাড়া ক্রসিংয়ে। সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বাসিন্দা চন্দন প্রচণ্ড তাঁর স্ত্রী ও আত্মীয়দের সঙ্গে কলকাতায় আসছিলেন। আত্মীয়দের দাবি, ভিড়ের কারণে তিনি কোনওভাবে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপাড়া জেনারেল হাসপাতালে। 


এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত রেলের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।


গতকাল থেকেই লোকাল ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় দেখা যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশে বলা হয়, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালাতে হবে লোকাল ট্রেন। মেট্রো চলাচলেও জারি একই বিধিনিষেধ। যদিও কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্র বিধিভঙ্গের ছবি দেখা যায়। 


অফিসটাইমের ঢাকুরিয়া স্টেশনে উধাও হয়ে যায় দূরত্ব বিধি? তুমুল ভিড় ট্রেনে। নজর রাখা বা ভিড় নিয়ন্ত্রণের কোনও ব্যবস্থা নজরে পড়েনি।


বনগাঁ শাখার নিউ ব্যারাকপুর স্টেশনে প্রতিটি লোকাল ট্রেনেই থিকথিকে ভিড় দেখা যায়। কামরায় উধাও দূরত্ব বিধি। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলার বিধিনিষেধ যে মানা হচ্ছে না, তা স্পষ্ট। 


সকাল থেকে বারুইপুর স্টেশনে ট্রেনে বাদুড়ঝোলা ভিড় দেখা যায়। স্টেশনে করোনা বিধি নিয়ে জিআরপি প্রচার চালায়। প্ল্যাটফর্মে মাস্ক বিলি করে রেল পুলিশ। 


শিয়ালদা, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, শান্তিপুর, গেদে শাখায় লোকাল ট্রেনে ভিড়। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানোর নিয়ম মানা সম্ভব নয়, দাবি নিত্য যাত্রীদের।


অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর স্টেশনে মাস্ক ছাড়াই ডিউটিতে রেল পুলিশ। পাশাপাশি, লোকাল ট্রেনেও বিধিভঙ্গের ছবি। কামরায় ভিড়। উধাও দূরত্ব বিধি। এরই মধ্যে মাস্ক ছাড়া ট্রেনে উঠেছেন কোনও কোনও যাত্রী। দেখা মেলেনি আরপিএফ, জিআরপি-র। 


বেশিরভাগ লোকাল ট্রেন এবং স্টেশনের এই ছবি যথেষ্ট উদ্বেগের। গতকালের পর আজও লোকাল ট্রেনে মারাত্মক ভিড় দেখা যাচ্ছে। তার ফলে একজনকে প্রাণও দিতে হল।