সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: গত পঞ্চায়েত ভোটে অনেক জায়গায় বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেননি। লোকসভা ভোটে তার ফল আমাদের ভোগ করতে হয়েছিল! হুগলির ধনেখালিতে দলীয় সভায় আত্মসমালোচনার সুর তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর পুনরাবৃত্তি এড়াতে দলীয় কর্মীদের কড়া বার্তা দেন তিনি। এই নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে অনেক জায়গায় বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি বলে লোকসভা নির্বাচনে তার ফল আমাদের ভোগ করতে হয়েছিল, সেটা যেন রিপিট না হয়।'


২০২৩-এ পরবর্তী পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের আগাম সতর্ক করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়! রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তথ্যসূত্র অনুযায়ী, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন শাসকদলের প্রার্থীরা। উঠেছিল ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ।


পঞ্চায়েত ভোটের একবছর পরেই লোকসভা নির্বাচন হয়। ৩৪ থেকে তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২২-এ। বিজেপি ২ থেকে বেড়ে হয় ১৮। এই ফলাফলের কথা মাথায় রেখেই আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আত্মসমালোচনার সুর শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদের গলায়।


কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক জায়গায় বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারে নি বলে লোকসভা নির্বাচনে তার ফল আমাদের ভোগ করতে হয়েছিল , সেটা যেন রিপিট না হয়। সেই মানুষ গুলোই রয়েছে, সেই মানুষগুলোই আবার ২০২১ এ ঘুরে এসে মমতাকে ভোট দিয়েছিল। সুতরাং আগামী দিনে পঞ্চায়েত ও পুরসভা ভোটে যেন সবাই ভোট দিতে পারে এবং ভোটে লড়াই করে যারা জিতে আসতে পারে।'


সম্প্রতি হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ নিয়ে বিস্ফোরক পোস্ট করেন ফেসবুকে। এই প্রেক্ষাপটেই তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। শ্রীরামপুরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, 'কল্যাণ বাবু প্রমাণ করলেন, বিরোধীদের যে ভোটে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি, সন্ত্রাস করে জিতেছে, তিনি যে এতদিন পরে স্বীকার করলেন এটার জন্য অভিনন্দন, এবার যদি আমরা প্রার্থী দিতে পারি, পুরসভা আর পঞ্চায়েতে আমরা ভালো রেজাল্ট করব।'


আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর-সহ ৩ বিধানসভায় ভোট গ্রহণ। আরও ৪টি বিধানসভার উপনির্বাচন-সহ শতাধিক পুরসভায় বকেয়া ভোট। কিন্তু তার আগে  ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে শুরু রাজনৈতিক তর্কযুদ্ধ।