সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: পশ্চিম বর্ধমানের পর হুগলি। শ্রীরামপুরে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদনকারীদের সহায়তায় এগিয়ে এলেন সিপিএম নেতা। পাল্টা রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।চুঁচুড়ায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গিয়ে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক।


লম্বা লাইনে যাঁরা দাঁড়িয়ে আছেন, তাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম তুলতে এসেছেন। আর যে ব্যক্তি তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন, তিনি হলেন হুগলির শ্রীরামপুরের সিপিএম নেতা প্রবীর চক্রবর্তী। 


দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ থাকবে না। নবান্নের তরফে বার বার এই বার্তা দেওয়া হলেও ছবিটা বদলাচ্ছে না। শনিবার শ্রীরামপুর পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসেছিল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম তুলতে ও জমা দিতে লাইন দিয়েছিলেন মহিলারা।সেখানেই গ্রাহকদের নানারকমভাবে সাহায্য করতে দেখা গেল শ্রীরামপুরের সিপিএমের এরিয়া কমিটির সদস্য প্রবীর চক্রবর্তীকে। কখনও লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে...কখনও আবার দোকানের সামনে। পরে একসময় পুলিশ তাঁকে সরিয়ে দেওয়ায় রাস্তার ধারে টেবিল পেতে বসে পড়েন সিপিএম নেতা। 


কিন্তু দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে তো রাজনীতির লোকজনদের ঢোকাই বারণ। এ ব্যাপারে প্রবীর চক্রবর্তী বলেছেন, সাধারণ মানুষকে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা বোঝাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 


এ ব্যাপারে রাজনীতির অভিযোগ করেছে তৃণমূল।তৃণমূল নেতা ও শ্রীরামপুরের প্রাক্তন কাউন্সিলর পিন্টু নাগ বলেছেন, সিপিএম যেটা করছে সেটা বেআইনি ও অনৈতিক কাজ। মুখ্যমন্ত্রী এবং সরকার চাইছেন সরকারি আধিকারিকরা আছেন, পুরসভার কর্মীরা আছেন, তাঁরা উপভোক্তাদের ফর্ম পূরন করে দেবে।


এ ব্যাপারে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর বক্তব্য, দুয়ারে সরকার সরকারি প্রকল্প। সেখানে যে কেউ সহযোগিতা করতে পারে।


শ্রীরামপুরে যখন তৃণমূল নেতার মুখে এই কথা, তখন ২৬ কিলোমিটার দূরে চুঁচুড়ায় ধরা পড়ল উল্টো ছবি। সেখানে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের কাজকর্ম পরিদর্শন করতে দেখা গেল স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারকে। তাঁর সঙ্গে কয়েকজন অনুগামীও ছিলেন। যদিও বিধায়কের দাবি, তিনি একাই ঢুকেছিলেন ক্যাম্পে। 
সব মিলিয়ে শাসক হোক বা বিরোধী, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে নেতাদের আনাগোনা লেগেই আছে।