সোমনাথ মিত্র, হুগলি: দামোদরের জলে ভাসল হুগলির শস্যগোলা হিসেবে পরিচিত তারকেশ্বর। চারটি পঞ্চায়েত এলাকার চার হাজার মানুষ জলবন্দি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি-সহ কয়েকজন গ্রামবাসীকে উদ্ধার করে এনডিআরএফ।
পুজোর মুখে ফের ডুবল হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা। আকাশপথে পরিদর্শনের পর, শনিবার হুগলির আরামবাগে নেমে বন্যা কবলিত এলাকায় যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরামবাগ থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে তারকেশ্বরের অবস্থাও ভয়াবহ। হুগলির শস্যগোলা হিসেবে পরিচিত তারকশ্বরের চারটি পঞ্চায়েত এলাকা, বৃহস্পতিবার রাত থেকে জলার তলায়।তৃণমূল ব্লক সভাপতি অশোক হাজরা সহ কয়েকজন গ্রামবাসীকে উদ্ধার করে এনডিআরএফ।
Mamata Banerjee: 'বাংলাকে আর কতবার ভাসাবেন?' ডিভিসি প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে তোপ মমতার
চাঁপাডাঙা এলাকায় একাধিক বাড়ি, দোকানে জল ঢুকেছে। নছিপুরে নলকূপ ডুবে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। জল ও খাবার পৌঁছয়নি বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তাঁরা পানীয় জল ও খাবারের অভাবের কথা জানিয়েছেন। পঞ্চায়েতের তরফে কিছু কিছু জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে রান্না করা খাবার।
হুগলির আরামবাগে প্লাবন-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এদিন কার্যত কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ডিভিসি-র ছাড়া জলে রাজ্যের ৮টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষোভ বাড়ছে। দরকার পড়লে ডিভিসি আমাদের টাকা দিক। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের উচিত মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা। ঝাড়খণ্ড সরকারকে অনুরোধ আমাদের সঙ্গে বসে পরিকল্পনা করুক। এদিন ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে কপ্টারে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। নামেন আরামবাগে। কথা বলেন দুর্গত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যকে না জানিয়ে সাড়ে ৫ লক্ষ কিউসেক জল ছেড়েছে ডিভিসি। ড্রেজিং করলে ডিভিসি-র জলাধারে আরও বেশি জল ধরত। ডিভিসি-র ছাড়া জলে ক্ষতিগ্রস্ত একলক্ষ বাড়ি। চারলক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে।