সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর : শ্রীরামপুরে (Srirampore) সোনা গলানোর দোকানে আয়কর অফিসার সেজে লুঠপাটের ঘটনায় গ্রেফতার চার। গতকাল রাতে কলকাতার কসবা থানা (Kasba PS) এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তদের নাম - সাগর কাপ্তে, প্রশান্ত মুলিক, দাত্তা বাঙেল, চেতন প্রকাশ।
মঙ্গলবার রাতে শ্রীরামপুর কুমিরজলা রোডে একটি সোনা গলানোর দোকানে আয়কর অফিসার সেজে হানা দেয় কয়েকজন। তারা দোকান থেকে সোনা ও নগদ আড়াই লক্ষ টাকা লুঠ করে। এরপর দোকানদারকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে দিল্লি রোডে ছেড়ে দিয়ে চম্পট দেয়। ঘটনায় শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নকল আয়কর হানায় ব্যবহৃত গাড়িটি চিহ্নিত করা হয়। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ বুধবার হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকা থেকে একটি বোলেরো গাড়ি ও তার চালককে আটক করে। পরে চালককে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের খোঁজ পান। এরপর গতকাল রাতে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাগর কাপ্তে কলকাতার বড় বাজার এলাকায় (Kolkata Burrabazar Area) থাকত। পরে কলকাতাতেই বিভিন্ন জায়গায় আস্তানা গাড়ে। আগে সোনা গলানোর কাজ করত সে। মহারাষ্ট্রের যারা এই কাজে যুক্ত তাদের চেনে। বদ সঙ্গ আর নেশায় আশক্ত হয়ে পড়ে সাগর। টাকার প্রয়োজনে তার পরিচিত লোককেই টার্গেট করতে শুরু করে। এর আগে একাধিক জায়গায় একই কায়দায় লুট করেছে। মাস খানেক আগে বটতলা থানা এলাকাতেও একই ধরনের অপরাধ সংগঠিত করে পালিয়ে যায়। সাগর জানত সোনা গলানোর কারবারে কিছু অস্বচ্ছতা থাকে। চুরি-ডাকাতি হলে পুলিশে অভিযোগ হবে না। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাতে চাইত। তবে পুলিশের তৎপরতায় এবার ধরা পরে যায়। আরও এক অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, লুঠ হওয়া টাকা ও সোনা উদ্ধার করা হবে।
প্রসঙ্গত, স্পেশাল ২৬-এ দিল্লিতে এক মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সাহায্য করে স্থানীয় থানার পুলিশ। অভিযান চালিয়ে বাড়ি, গাড়ি থেকে লুকোনো টাকা, গয়না উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। অপারেশন শেষ করে চলে যাওয়ার পর জানা যায়, অভিযান ছিল নকল সিবিআই-এর। রুপোলি পর্দার এই গল্পের স্মৃতি উসকে দেয় শ্রীরামপুরের ঘটনা।