সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : হুগলির উত্তরপাড়ায় ৮ বছরের শিশুকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ গৃহশিক্ষিকার বিরুদ্ধে।  অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার ওই ঘটনা ঘটে। শনিবার শিশুর বাড়ির লোক বিষয়টি জানতে পারেন।  তারপরই উত্তরপাড়া থানায় দায়ের করা হয় অভিযোগ।


পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার পর হুগলির উত্তরপাড়া। আরও এক শিশুর ওপর শিউরে ওঠার মতো নির্যাতনের অভিযোগ।   পাঁশকুড়ায় ১০ মাসের শিশুকন্যাকে আছাড় মারার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে পরিচারিকাকে। আর এবার হুগলির উত্তরপাড়া থানা এলাকায়, ৮ বছরের পড়ুয়াকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল গৃহশিক্ষিকাকে। 


পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার কোন্নগরেরই বাসিন্দা গৃহশিক্ষিকার বাড়িতে পড়তে গিয়েছিল ক্লাস ওয়ানের পড়ুয়া।  সেখানে ব্যাচ করে পড়ানো হয়।  গৃহশিক্ষিকা তাকে ১ থেকে ১০০ বলতে বলেন। অভিযোগ, পড়া ভুল করায় প্রথমে বেত দিয়ে মারা হয় ওই ছাত্রকে। তারপর গায়ে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়া হয়।  ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, বাড়িতে ঘটনার কথা জানালে আরও শাস্তি দেওয়া হবে বলে শাসান শিক্ষিকা। 


এরপর পড়ুয়া বাড়ি চলে আসে।  তার পরিবারের দাবি, ওই গৃহশিক্ষিকা শিশুর ক্ষতস্থানে ব্যান্ডেজ করে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।  বাড়ির লোককে গৃহশিক্ষিকা জানান, অসাবধানে শিশুর গায়ে ছ্যাঁকা লেগে গেছে।


শিশুটি এতদিন কিছু বলেনি। ভয়ে মুখ বুজে যন্ত্রণা সহ্য করেছে।  শনিবার বাড়ির লোক ব্যান্ডেজ খুলে বিষয়টি জানতে পারে। 


আক্রান্ত শিশুর মা অভিযুক্তর শাস্তি দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, উনিও একজন মা।  কী করে তিনি এমন ঘটনা ঘটালেন! এখন অনেকেই অভিযোগ তুলতে বলছেন।


শনিবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় গৃহশিক্ষিকা রুণু ঘোষকে।


অভিযুক্ত গৃহশিক্ষিকা  বলেছেন, বাচ্চাটা একদমই পড়া করত না। তাই আমি ভয় দেখাতে গিয়েছিলাম। খুন্তি যে গরম ছিল, তা বুঝতে পারিনি। আমি চিকিত্‍সা করি। বাবা-মাকেও জানিয়েছিলাম।


ধৃত গৃহশিক্ষিকারও ১০ বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে।  তা সত্ত্বেও তিনি কী করে ৮ বছরের পড়ুয়ার সঙ্গে এমনটা করতে পারলেন, তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই।