সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: রাত পোহালেই জামাইষষ্ঠী (Jamaisasti)। জামাই-এর জন্য তোড়জোড় শুরু হয়েছে শ্বশুড়বাড়িতে। বিগত দু বছর করোনা (Covid), লকডাউনের (Lockdown) মতো একাধিক সমস্যা কাটিয়ে অবশেষে মন ভরে জামাই আদরের সুযোগ। বাজারদর আগুন হলেও জামাই-আদরে যাতে কোনও খামতি না থাকে তারই আপ্রাণ চেষ্টা চলছে ঘরে ঘরেই। একে উইকেন্ড, তারওপর জামাই ষষ্ঠী। সবমিলিয়ে জমজমাট রবিবার।


জামাইদের পাশাপাশি এই জামাইষষ্ঠীতে শাশুড়ির মন জয় করতে মার্কেটে হাজির শাশুড়ি জিন্দাবাদ সন্দেশ (Sweets)। পাতে পঞ্চব্যঞ্জন আয়োজন থাকলেও শেষ পাতে মিষ্টি না হলে ঠিক জমে না। স্বাস্থ্য সচেতনতা সত্বেও জামাইষষ্ঠীতে মিষ্টির চাহিদা কিন্তু কমেনি।


জামাইষষ্ঠী উপলক্ষ্যে মিষ্টির দোকানগুলোতে 'লাস্ট মিনিট' প্রস্তুতি তুঙ্গে। চন্দননগরের কয়েকটি বিখ্যাত মিষ্টির প্রতিষ্ঠান হরেকরকম মিষ্টির পসরা সাজিয়েছে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে। বিভিন্ন ধরনের ক্রিমের আইটেম, ক্যাডবেরি সন্দেশ, বেকড রসমাধুরী থেকে শুরু করে দুধের  মিষ্টি, রঙিন রসগোল্লা সবই আছে মেনুতে। 


তবে এবারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা কেশর পেস্তা দিয়ে তৈরি শ্বাশুড়ি জিন্দাবাদ সন্দেশের। মিষ্টি বিক্রিতারা বলছেন, জামাইষষ্ঠীতে মিষ্টির চাহিদা থাকে বরাবর। তবে বিগত বছরে করোনা অতিমারির জন্য মিষ্টি ব্যবসাতে ভাটা পড়েছে অনেকটা। 


তবে এ বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আর তাই ফের ময়দানে নেমে কোমর বেঁধেছেন বিক্রেতারা। মিষ্টির পসরা সাজিয়েছেন মন ভরে। যদিও সব জিনিসের দাম বাড়ায় এবার মিষ্টির দামও বেড়েছে খানিক।


ব্যবসায়ী প্রণব শীল বলছেন, উৎসব অনুষ্ঠানে মিষ্টির চাহিদা খুবই ভাল। তবে করোনার জের এখনও কাটিয়ে ওঠা যায়নি। আর কাঁচা মালের দাম বাড়ার কারণে ৫ থেকে ১০ শতাংশ দাম বাড়াতে হয়েছে মিষ্টিরও। তবে চাহিদা আছে নতুন নতুন মিষ্টির।


আরও এক মিষ্টি ব্যবসায়ী ধনঞ্জয় দাস বলছেন, ব্যাপক চাহিদা রয়েছে শ্বাশুড়ি জিন্দাবাদ মিষ্টির। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়া যাচ্ছে না। মানকুন্ডুর এক ক্রেতা সুচন্দ্রা পাল বলছেন, চন্দননগরের মিষ্টি সবসময়ই ভাল। তবে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে কিছু নতুন মিষ্টি তৈরি হয়। সেগুলো চেখে দেখি আমরা। দাম কিছুটা বেশি আছে ঠিকই তবে জামাইষষ্ঠী তো পালন করতে হবে।