ব্যান্ডেল : বকেয়া কাজের জন্য প্রায় একমাস ব্যান্ডেল (Bandel) শাখায় বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিলের (Local Trains Cancelled) সিদ্ধান্ত। পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ইন্টারলকিংয়ের কাজ শেষ হলেও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই আজ থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত ব্যান্ডেল শাখায় ১০টি EMU লোকাল বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে হাওড়া থেকে ৩টি, ব্যান্ডেল থেকে ৪টি, কাটোয়া, বর্ধমান ও মেমারি থেকে একটি করে EMU বাতিল করার কথা জানিয়েছে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।


এর আগে ঘোষণা করা হয়েছিল, ব্যান্ডেল-শক্তিগড় শাখায় থার্ড লাইন সম্প্রসারণের কাজের জন্য দু’দিন পুরোপুরি বন্ধ থাকবে ব্যান্ডেল ও মগরার মধ্যে ট্রেন চলাচল। তার জেরে ২৭ মে দুপুর ৩টে থেকে ৩০ মে দুপুর ৩টে পর্যন্ত, ৭২ ঘণ্টা পাওয়ার ব্লক করা হবে। এর ফলে ২৮ ও ২৯ মে ব্যান্ডেলের ওপর দিয়ে যাওয়া সমস্ত ট্রেন বন্ধ থাকবে। বেশ কয়েকটি মেল, প্যাসেঞ্জার ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়। জানানো হয়, যাত্রীদের সুবিধার জন্য হাওড়া থেকে চুঁচুড়া শাখায় চলবে বেশ কিছু স্পেশাল ট্রেন। 


আরও পড়ুন ; ব্যান্ডেলে চালু হল ট্রেন চলাচল, অফিস টাইমে তবুও চূড়ান্ত হয়রানির ছবি


পূর্ব রেল সূত্রে জানা যায়, বিশ্বভারতী এক্সপ্রেস, আসানসোল-শিয়ালদা এক্সপ্রেস, মালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, ময়ূরাক্ষী এক্সপ্রেস, গণদেবতা এক্সপ্রেস, তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস, কামরূপ এক্সপ্রেস, হাটেবাজারে এক্সপ্রেস, পাহাড়িয়া এক্সপ্রেস, শিয়ালদা-রামপুরহাট এক্সপ্রেস-সহ ব্যান্ডেল স্টেশন দিয়ে যাওয়া একাধিক ট্রেন বাতিল।


এদিকে ট্রেন বন্ধের দ্বিতীয় দিনেই ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ করেন, প্রায় একঘণ্টা অন্তর ট্রেন আসছে। পাশাপাশি, ট্রেনের সংখ্যা কম হওয়ায় কামরায় ভিড় উপচে পড়ে। 


অন্যদিকে, ব্যান্ডেল ও মগরার মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় প্রভাব পড়ে ফেরি সার্ভিসে। সেখানেও ভিড় উপচে পড়ে। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, সাইকেল অথবা গাড়ি রাখার জায়গা অমিল। তবে অসুবিধা সত্ত্বেও রেলের আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান যাত্রীরা।


গত ৩০ মে দুপুর ৩টে নাগাদ ব্যান্ডেল ও মগরা স্টেশনের মধ্যে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে তার কয়েক ঘণ্টা আগেই চালু হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। রেল সূত্রে জানা যায়, তার আগের রাত ১টা ২০-তেই থার্ড লাইন সম্প্রসারণের কাজ শেষ হয়ে যায়। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির পরিদর্শনের পর দ্রুত থার্ড লাইনও চালু করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। যদিও ৩০ তারিখ সকালেও অফিসযাত্রীরা চূড়ান্ত দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন।