সত্যজিৎ বৈদ্য, সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সোমনাথ মিত্র, হুগলি: হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়-সহ ৪। দশমীর রাতে ঠাকুর দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ১২ বছরের বালিকা। তিনদিনের মাথায় বাড়ির এক কিলোমিটার দূরে ডোবা থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে মৃত নাবালিকার পরিবার। এই ঘটনায় গতকাল রাতে হরিপাল থেকে মৃতের এক আত্মীয়-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।


হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় নিখোঁজ নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তুলকালাম। জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বকে মৃত নাবালিকার বাড়িতে যেতে বাধা স্থানীয়দের। কংগ্রেস নেতাদের রীতিমতো তাড়া করেন তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি, মৃত্যু নিয়ে তাঁরা রাজনীতি চান না। কুত্সার রাজনীতি চায় না মানুষ, আক্রমণ তৃণমূলের। সাধারণ মানুষ নয়, বাধা দিয়েছে তৃণমূল, প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের।পাশাপাশি, এদিন প্রথমে জাঙ্গিপাড়া থানায় যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। এরপর নাবালিকার বাড়িতেও যায় বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশকে ৪৮ ঘণ্টার হুঁশিয়ারি প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের।


অন্যদিকে, মৃত নাবালিকার পরিবারের দাবি, দশমীর দিন সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিল ১২ বছরের বালিকা। দেহ উদ্ধার হলেও তার সাইকেলের খোঁজ মেলেনি। আজ সকাল থেকে আশপাশের জলাশয়ে ডুবুরি নামিয়ে খোঁজ চালাচ্ছে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ। ড্রোন উড়িয়েও চলছে তল্লাশি। পাশাপাশি, পুলিশ জানিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে নাবালিকার মৃত্যুর কারণ।


পুলিশে আস্থা নেই। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল মৃতের পরিবার। এদিকে, যে সাইকেল নিয়ে দশমীর দিন বেরিয়েছিল নাবালিকা, এখনও খোঁজ মেলেনি তার। দিনভর ডুবুরি নামিয়ে, ড্রোন উড়িয়ে ঘটনাস্থলের চারপাশে তল্লাশি চালাল পুলিশ। রবিবার জাঙ্গিপাড়ায় যায় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।


হরিদেবপুর থেকে জাঙ্গিপাড়া একের পর এক ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা জাঙ্গিপাড়ার ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে CBI তদন্তের দাবিতে সরব হল পরিবার। কিন্তু কী করে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে নির্জন ওই বাঁশ বাগানে গেল নাবালিকা? যে সাইকেল নিয়ে দশমীর দিন নাবালিকা বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। খোঁজ মিলছে না সেই সাইকেলটিরও। তার খোঁজে রবিবার সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। আশপাশের জলাশয়ে নামানো হয় ডুবুরি। ওড়ানো হয় ড্রোন। স্থানীয় সূত্রে খবর, ডোবার পাশে দেখা মিলেছে ২ জোড়া জুতোর। যে রাস্তায় সচরাচর কেউ যান না, সেখানে ডোবার পাশে ২ জোড়া জুতো এল কোথা থেকে? কে নাবালিকাকে নির্জন ওই বাঁশ বাগানে নিয়ে গেল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খুন না কি অন্য কোনওভাবে মৃত্যু? ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ? ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।