হুগলি: হুগলির শ্রীরামপুরে (Hooghly Blast) লোহার আসবাব তৈরির কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত্যু হল দুই শ্রমিকের। আহত হয়েছেন আরও ২ জন শ্রমিক। মৃতদেহ (Deadbody) আটকে বিক্ষোভ দেখান অন্য শ্রমিকরা (Worker Agitation)। পরে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ (Police) গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ শ্রীরামপুরের পিয়ারাপুরে দিল্লি রোডের (Near Delhi Road) ধারে লোহার আসবাব তৈরির এই কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। কীভাবে বিস্ফোরণ? ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বছরের শুরুতেই নন্দকুমারের একটি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। নন্দকুমারে বরফকলে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। অ্যামোনিয়া গ্যাস সিলিন্ডারে (Ammonia Gas Cylinder) বিস্ফোরণ হয়ে মৃত্যু কারখানার মালিকের। গুরুতর জখম হয় এক শ্রমিক। বরফ কারখানায় বিস্ফোরণের প্রাণ হারানোর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলার নন্দকুমার (Nandakumar) থানার বরগোদা গোদার গ্রামে। বরফ কারখানায় অ্যামোনিয়া গ্যাসের চেম্বার বিস্ফোরণ ঘটে মৃত্যু হয়েছে কারখানার মালিকের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানা এলাকার বরগোদা গোদার গ্রামের ঘটনা। শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরণের শব্দে হঠাৎই কেঁপে ওঠে বরগোদা গোদার গ্রাম। বিস্ফোরণ ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বিস্ফোরণের উৎস খুঁজতে গিয়ে জানা যায় ঠেকুয়াচক পুরষাঘাট বাস রাস্তার পাশে একটি বরফ কারখানায় বিস্ফোরণটি ঘটেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় বরফ কারখানার অ্য়াসবেস্টসের ছাদের একাংশ উড়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ওই বরফ কারখানার মালিকের। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল? তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয় নন্দকুমারের বরগোদা গ্রামে।
আরও পড়ুন, 'ডিভিসি জল ছাড়লেই বন্যা হয়', বললেন মমতা
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, ছয়-সাত বছর ধরে বাস রাস্তার পাশে ওই বরফ কারখানাটি চলছিল। স্থানীয় চন্দন বর্মন বরফ কারখানার মালিক। কিন্তু শেষ এক সপ্তাহ ধরে কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল। বরফ তৈরির জন্য লিকুইড অ্যামোনিয়া গ্যাসের চেম্বার ঠিকঠাক কাজ করছিল না। ওই গ্যাসের চেম্বার সারাইয়ের জন্য মিস্ত্রি নিয়ে আসেন বরফ কারখানার মালিক। গ্যাস চেম্বার সারাইয়ের সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। গ্যাস চেম্বারের পাশে থাকা মালিক চন্দন বর্মন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এবং কাজের জন্য আসা মিস্ত্রি গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। নন্দকুমার থানার পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ ও আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে তাম্রলিপ্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়।