সোমনাথ মিত্র, হুগলি: সিঙ্গুরের মির্জাপুরে প্রকাশ‍্য দিবালোকে দুই ভাইকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত উত্তম সাঁতরাকে গ্ৰেফতার করে আদালতে পাঠালো সিঙ্গুর থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মদ‍্যপ অবস্থায় বচসার জেরে নির্মলকে খুন করার পর রাজকুমারকে খুন করে অভিযুক্ত। তবে ঠিক কি কারনে অভিযুক্ত  খুন করল, কেনই বা পরপর দুজনকে খুন করল, কি নিয়ে বচসা হল তা এখনো স্পষ্ট হয়নি । অভিযুক্তকে পুলিশ রিমান্ডে তদন্ত আরো এগিয়ে  নিয়ে যাওয়া হবে বলে  পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। অন‍্যদিকে মৃতের পরিবার ও প্রতিবেশীরাও অন্ধকারে কেন দুই ভাইকে খুন করল উত্তম সাঁতরা। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে সরব হয়েছে মৃতের প্রতিবেশীরা।।


সিঙ্গুরের মির্জাপুর-বাকিঁপুর পঞ্চায়েত এলাকার জগৎনগর খটি স্কুলের কাছে বাড়ি মৃতের পরিবারের। গতকালকের ঘটনার পর আজ ও শোকের ছায়া এলাকায়। বাড়িতে সমব‍্যাথী  প্রতাবেশীর ভিড়। কান্নায় ভেঙে পড়েছে মৃতের আত্মীয় পরিজনেরা। সবাই অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। অভিযুক্তের সঙ্গে মৃত নির্মল মালিকের পাড়াগত সম্পর্ক থাকলেও ঠিক কেন সে খুন করল তা এখনো পরিষ্কার নয়। অভিযুক্ত উত্তম সাঁতরা আগে মৃতের বাড়িতেও যাতয়াত করতো বলে জানা গেছে। মৃত রাজকুমার মালিকের স্ত্রী গৌরী মালিকের দাবি,অভিযুক্ত আগে মাঝে মধ‍্যে বাড়িতে আসতো। ক্লাবেও আসতো।  তবে আমার স্বামীর কারোর সাথে কোন শক্রতা ছিল না। আগেও কিছু বলেনি।  কেন এমন সে করল জানি না।


মৃতের প্রতিবেশী অপর্না পাত্র জানান, দাদাকে মারছে শুনে ভাই ও বেরিয়ে যায় বাজারের দিকে। রাস্তায় উত্তম সাঁতরাকে ধরতেই উত্তম রাজকুমারকেও আঘাত করে দেয়। মায়ের বারন করা সত্ত্বেও ছোট ভাই বেরিয়ে যায়‌। এই ঘটনার  একটা প্রতিবাদ হওয়া উচিত। তবে খুনের কারণ কেউ বলতে পারছে না ।।


অন‍্যদিকে মৃতের বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরে জগৎনগর মধ‍্যপাড়ায় বাড়ি  অভিযুক্ত উত্তম সাঁতরার। আজ বাড়িতে গিয়ে কারোর দেখা মেলেনি। বাইরের গেটে তালা দেওয়া। সমস্ত ঘরের দরজা , জানালা বন্ধ।।


হুগলি জেলা গ্ৰামীন পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন, ''অভিযুক্ত বলছে মদ খেয়ে সে খুন করে ফেলেছে। বাজারে দুজনের ধাক্কাধাক্কি হবার পর অভিযুক্তের আশঙ্কা ছিল তাঁকে মেরে দেবে ওরা, সেই কারনেই  দুভাইকে মেরে দেয় সে। তবে প্রত্যেকেই পূর্ব পরিচিত।''