সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: প্রতিবছরই বোমা উদ্ধার (Bomb Rescue) হয় বঙ্গে। তবে এবার বোধহয় বছরভর বোমা উদ্ধার, শিরোনামের সঙ্গে। বোমা উদ্ধার হওয়া থেকে বিস্ফোরণের তালিকায় মুর্শিদাবাদ এত দিন ধরে বারবার মাথা উঁচু করেছে। সঙ্গে বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনাও রয়েছে তালিকায়। এবার সামিল হল ফের নতুন করে হুগলি জেলাও। শ্রীরামপুরে (Serampore) রেললাইনের পাশ থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।


জানা গিয়েছে, একটি বালতিতে পাঁচটি বোমা রাখা ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, চন্দনগর পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। খবর দেওয়া হয় সিআইডি বোম্ব স্কোয়াডকে। বোম্ব ডিসপোজাল টিম এসে বোমা-সহ বালতি সরিয়ে নিয়ে যায়। হাওড়া বর্ধমান শাখার তিন নম্বর লাইনের পাশে আন্ডারপাশের কাছেই ছিল এই বোমা। তবে ট্রেন চলাচলে কোনও প্রভাব পড়েনি।


চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন, ঝোপের পাশে বোমার বালতি রয়েছে খবর পেয়ে, সেগুলো উদ্ধার করা হয়। কী ধরনের বোমা ? এবং কী উদ্দেশ্যে বোমাগুলো রাখা ছিল ? তাও খতিয়ে দেখা হবে। বোমা উদ্ধারের খবরে এলাকার বাসিন্দারা এই ঘটনায় যথেষ্ট ভীত হয়ে পড়েন। শেষ অবধি পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, বোমগুলিকে ফাঁকা জায়গায় ব্লাস্ট করানো হয়েছে। 


প্রসঙ্গত, বছর শুরু থেকে পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার আগে অবধি মাঠে ঘাটে, ভাড়া বাড়িতে বোমা উদ্ধার হয়েছে। কখনও তা শাসকদলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। কখনও তারা আবার নিজেরাই অভিযুক্ত। তবে বোমা উদ্ধারের ঘটনা থামেনি। বরং পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর তা আরও বেগ পেয়েছে। এই বোমা বিস্ফোরণেই একাধিক রাজনৈতিক খুনের সাক্ষী থেকেছে এবার বাংলা। ফাঁকা হয়েছে মায়েদের কোল। তবুও পঞ্চায়েত ভোট শেষ হলেও বোমা পিছু ছাড়েনি পশ্চিমবঙ্গকে। 


আরও পড়ুন, কলকাতা থেকে ঘুরতে যাওয়াই কাল হল ? মন্দারমণির সমুদ্রে তলিয়ে ১ পর্যটকের মৃত্যু


এত বোমা তাহলে আসছে কোথা থেকে ? উৎস কোথায় ? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কিংবা কখনও বিভিন্ন রাজনৈতিক শীর্ষ নের্তৃত্ব নিজেরাই প্রশ্ন করে নিজেরাই উত্তর দিয়েছেন। শাসকদলের শীর্ষ নের্তৃত্বের তরফে অভিযোগ করতে শোনা গিয়েছে, বোমা আসছে যোগী রাজ্য থেকে। ওদিকে তখন ঝড় তুলেছে গেরুয়াশিবির। তাঁদের অকট্য যুক্তি তৃণমূল সরকারের অধীনে বোমার স্তূপে পরিণত হয়েছে বাংলা। এমন সুর শোনা গিয়েছিল, একুশের বিধানসভার আগে তৎকালীন রাজ্যপাল ধনখড়ের মুখে। তবে ২০২৩ এর বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গী হয়েছে এবার বাজি বিস্ফোরণ।