সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: উৎসবের আবহেও মৃত্যুর বিষাদ। কেউ ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে বাড়ি ফিরলেন না, কেউ আবার প্রাণ হারালেন মদের আসরে। হুগলি থেকে বাঁকুড়া...পশ্চিম মেদিনীপুরে উঠল খুনের অভিযোগ।


বাড়ির অদূরে উদ্ধার যুবকের রক্তাক্ত দেহ: মণ্ডপ থেকে বিদায় নিয়েছেন উমা। তবে এখনও গলি থেকে রাজপথে ফিকে হয়নি উৎসবের আলো। সেই আবহেই পরপর মৃত্যু। কেউ প্রাণ হারালেন বন্ধুর হাতে মদের আসরে। কেউ আবার বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে আর ফিরলেন না। দশমীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন হুগলির চাঁপদানির বাসিন্দা বছর ২২-এর রাজকুমার সাউ। পরিবারের দাবি, তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। বৃহস্পতিবার, বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জলাশয় থেকে উদ্ধার হল রক্তাক্ত দেহ। এ বিষয়ে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, মৃতদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ত্রিকোণ প্রেমের কারণেও খুনের ঘটনা ঘটতে পারে। মৃতের ২ বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


উৎসবের আবহেও মৃত্যুর বিষাদ: বাঁকুড়া অষ্টমীর বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সদর থানা এলাকার কেশিয়াকোলের বাসিন্দা বছর ২৪-এর সুজন রুইদাস। শুক্রবার, দ্বাদশীর সকালে তাঁর মুণ্ডহীন পচা-গলা দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির কাছের ঝোপ থেকে। খুনের অভিযোগে সরব মৃতের পরিবার। মৃতের আত্মীয় পরেশ রুইদাস বলেন, “দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা জানায়, পুলিশ সঠিক তদন্ত করুক। পশ্চিম মেদিনীপুরে একাদশীর রাতে বন্ধুর বাড়িতে মদ খেতে বসেছিলেন দাসপুরের মহব্বতপুরের বাসিন্দা মানস মাঝি। পরিবারের দাবি, কথায় কথায় বন্ধু ভাস্কর মাঝির সঙ্গে বচসা বাধে তাঁর। এরপর মানসকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, শুক্রবার ভোরে, মানসের বাড়িতে জানানো হয় মৃত্যুর কথা। এই ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দশমীর রাত থেকে নিখোঁজ হরিদেবপুরের যুবকের দেহ উদ্ধার মগরাহাটে। বান্ধবীর সঙ্গে বেরনোর পর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায় অয়ন মণ্ডল। একাদশীর দিন হরিদেবপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি পরিবারের। মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। মগরাহাট থেকে দেহ উদ্ধার। উদ্ধার হওয়া দেহ অয়নের, জানিয়েছে পরিবার, দাবি পুলিশের। অয়নের দেহে রয়েছে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। বান্ধবীর পরিবারকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। 


আরও পড়ুন: Youth Missing: দশমীতে বান্ধবীর সঙ্গে বেরিয়ে নিখোঁজ যুবক, দেহ মিলল ২ দিন পর