সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: তীব্র গরমের মধ্যে মিলছে না পানীয় জল (Drinking Water)। প্রতিবাদে হুগলির (Hooghly) গোকুলডাঙায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অফিসের সামনে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, এ বিষয়ে তাঁর কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। যতদিন না সজল ধারা চালু হচ্ছে, ততদিন জল দেওয়া হবে PHE থেকে, জানিয়েছেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ।


চৈত্রেই পারদ চড়ছে বৈশাখের মতো। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ। কাঠফাটা গরমের মধ্যেও মিলছে না পরিশ্রুত পানীয় জল। এই অভিযোগে সরগরম হুগলির বেরেলা কোঁচমালি গ্রাম পঞ্চায়েতের গোকুলডাঙা এলাকা। বাসিন্দাদের দাবি, সজল ধারার জল না পেয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর বা PHE-র সরবরাহ করা পানীয় জল ব্যবহার করছিলেন।


অভিযোগ, সম্প্রতি সেই পাইপ লাইন বন্ধ করে দিয়েছেন PHE-র অপারেটর। প্রতিবাদে, গঙ্গার জল পরিশুদ্ধ করে সরবরাহ করার পাইপ লাইন পাতার যে কাজ চলছিল, তা বন্ধ করে দেন গ্রামবাসীরা। পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের পাশাপাশি, অপারেটরের শাস্তির দাবিতে এদিন PHE অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান তারা। স্থানীয় পঞায়েত প্রধান জানিয়েছেন, তিনি এখনও এনিয়ে কোনও অভিযোগ পাননি। হুগলির বেরেলা কোঁচমালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মামণি হেমব্রম বলেন, “এ বিষয়ে কোন কিছুই অবগত নয়। তার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান হবে। এবং পানীয় জল যাতে গ্রামবাসীরা পায় সে বিষয়েও দেখা হবে।‘’


অভিযুক্ত PHE অপারেটর জানিয়েছেন, ওই এলাকা PHE-এর অন্তর্ভুক্ত নয়। তা সত্ত্বেও বেআইনিভাবে পানীয় জল ব্যবহার করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। তার ফলে অন্যান্য এলাকায় জলের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। তাই বাধ্য হয়ে ওই এলাকার জল বন্ধ করা হয়েছে। জেলা পরিষদেরে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যতদিন না সজল ধারা চালু হচ্ছে, ততদিন জল দেওয়া হবে PHE থেকেই। পানীয় জল কোনওভাবেই বন্ধ করা হবে না।


আরও পড়ুন: Madan Mitra: 'জল তোমার শুকিয়ে গেছে... ওহে মাধব নীল' মদন নিশানায় রুদ্র