হুগলি: তারকেশ্বরে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পেও সংঘর্ষ, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তৃণমূল নেতার দেহরক্ষী। দুয়ার সরকার ক্যাম্পে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর বিবাদে ধুন্ধুমার। পরিস্থিতি সামলাতে আগ্নেয়াস্ত্র বার করতে হল পুলিশকে। হুগলির তারকেশ্বরের নাইটা মালপাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্য়াম্পে পরিষেবা দেওয়া নিয়ে তৃণমূলেরই ২ পক্ষের বিবাদ। তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর বিবাদে আগ্নেয়াস্ত্র বার করতে হল পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের দেহরক্ষীকে।
রাজ্যে ইতিমধ্য়েই একের পর এক গোষ্ঠীদ্বন্দের খবর প্রকাশ্যে আসছে। একের পর এক খুনের ঘটনাও সামনে এসেছে। সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলির মধ্য়ে অন্যতম মালদার তৃণমূল নেতা হত্যাকাণ্ড। এদিকে একাধিক ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন শাসকনেতারাই। পঞ্চায়েত ভোট, উপনির্বাচন, তার উপর লোকসভা ভোট, একের পর এক ভোটে সবুজ ঝড়ের পর ইমেজ ঠিক রাখতে কড়া নজর দলের শীর্ষ নের্তৃত্বের। একদিকে হাতছানি দিচ্ছে ছাব্বিশের নির্বাচন। তাই তার আগে কোনও মতেই ঝুঁকি নিতে রাজি নয় রাজ্যের শাসকদল। যদিও পাখির চোখ ছাব্বিশের ভোট হলেও, বারংবারং অপরাধের নানা ঘটনায় নাম জড়াচ্ছে শাসকনেতাদের ।
অপরদিকে, সম্প্রতি স্কুল চলাকালীন স্কুলের সামনে মাঠে মাইক বাজিয়ে নৃত্য পরিবেশন করে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল বারাসাত ২ নম্বর ব্লকের দাতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোলাবাড়ি পল্লী মঙ্গল হাইস্কুল চত্তরে।স্থানীয় অভিভাবকরা দাবি করছিলেন, স্কুল চলাকালীন এভাবে গান বাজিয়ে নৃত্য পরিবেশন করে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি করা ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হচ্ছে। এটা না হলেই ভালো হতো। গোলাবাড়ি পল্লী মঙ্গল হাই স্কুলের শিক্ষক আমরা আমাদের স্কুলের ভিতর পঠন পাঠন ঠিক রেখেছি। স্কুলের সামনে মাঠে যে সরকারি কর্মসূচি চলছে তার জবাব দেবে পঞ্চায়েত সমিতি গ্রাম পঞ্চায়েত। আমাদের স্কুলের সব ঠিকঠাক চলছে।'
অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন। বারাসাত দু'নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত পরিবহন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ আসের আলী মল্লিক বলেছিলেন, স্কুলের মাঠে কোনওরকম দুয়ারে সরকার কর্মসূচি হচ্ছে না। এটি গোলাবাড়ি পল্লীমঙ্গল উন্নয়ন সমিতির মাঠ। যারা অভিযোগ করছে সম্পন্ন ভিত্তিহীন। এদিকে প্রশাসনিক ভাবে বারাসাত দু নম্বর ব্লকের ভিডিও নিজে অনুমতি পত্র দিয়েছেন সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা ছিল গোলাবাড়ি পল্লীমঙ্গল হাইস্কুল মাঠ সরকার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। তেমনি বিজ্ঞপ্তি তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দিয়েছিলেন। '
আরও পড়ুন, কাছে নেই মোবাইল, কুম্ভমেলায় গিয়ে নিখোঁজ কাটোয়ার বছর ৭০ এর বৃদ্ধা !