সোমনাথ মিত্র, হুগলি: বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুর থেকে প্রৌঢ়ের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল তারকেশ্বর থানার নারায়ণপুরে। মৃতের নাম আনন্দ সাঁতরা(৭৫)। ময়নাতদন্তের পরেই প্রৌঢ়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ (Police)।


পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয় দশমীর দিন সন্ধ্যাবেলা  ঠাকুর দেখতে বাড়ি থেকে বের হন প্রৌঢ়। রাত দশটার পর বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি  করেও কোথাও খুঁজে পায়নি পরিবারের লোকজন। তারপর  আজ  সকালে জানতে পারেন বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরত্বে একটি পুকুরে এক ব্যক্তির দেহে ভাসছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পরিবারের লোকজন ও তারকেশ্বর থানার পুলিশ। পুকুর থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে তারকেশ্বর থানা। তবে কী কারনে ব্যক্তিটির মৃত্যু হল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। থানায় নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পত্র ও জমা পড়েনি। ময়নাতদন্ত হলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে পুলিশের দাবি। অন্যদিকের মৃতের ছেলে মনোরজ্ঞন সাঁতরা জানান, 'আমরা বাবার মৃত্যুর জন্য কাউকে কোনও সন্দেহও করছি না। তাছাড়া বাড়িতে ও কারোর সাথে কোন ঝামেলা হয়নি। কী কারণে মারা গিয়েছে, তা  বলতে পারছি না।'


আরও পড়ুন, 'ওদের তো ডেডবডিকে নিয়েই রাজনীতি', বিস্ফোরক উদয়ন গুহ


জুলাইয়ের শেষে, দক্ষিণ দিনাজপুরেও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ দিনাজপুরর বংশীহারী ব্লকের একটি পুকুরে মা ও ২ সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।প্রতিবেশী সূত্রে খবর, মহিলার স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। ভিনরাজ্যে থাকেন। মা ও ২ ছেলেকে তাঁরা শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল। সকালে পুকুর থেকে উদ্ধার হয় মা ও দুই শিশুপুত্রের মৃতদেহ। একজনের বয়স ২, একজনের ৩। মৃত্যুর কারণ নিয়ে পরতে পরতে ছিল ধোঁয়াশা। দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে বংশীহারী থানার পুলিশ। বংশীহারী এলাকার বাসিন্দা সওকত আলি বলেন, মৃতরা আমার বাড়ির পাশেই থাকতেন। হঠাৎ লোক মারফত জানতে পারি ৩টে মৃতদেহ পুকুরে ভাসছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় গিয়ে দেখি। গোটা বিষয়টা প্রশাসনকে জানাই। ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন। দেহগুলি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।  খুন নাকি আত্মহত্যা সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, 'তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। ময়নাতদন্ত হওয়ার পরই কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা মিলবে।'


  এদিকে প্রকাশ্য় রাস্তায় পড়ে গুলিবিদ্ধ (Bullet) দেহ (body) উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। পাশেই আবার আগ্নেয়াস্ত্র (firearms)। প্রত্যন্ত এলাকা নয়, খাস কলকাতার বুকে এমন ঘটনা ঘটেছে। আরও নির্দিষ্ট করে বললে তারাতলার (taratala) হাইড রোড লাগোয়া গোডাউন পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কাল রাতেই ওই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখা যায় হাইড রোড লাগোয়া গোডাউন পাড়া এলাকায়। রাস্তায় পড়ে থাকা ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কে তিনি? কোথা থেকে এলেন? কী ভাবেই বা মৃত্যু, এখনও স্পষ্ট নয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। রহস্য উদঘাটনে বড় ভূমিকা নিতে পারে রিপোর্ট, ধারণা তদন্তকারীদের। আপাতত আগ্নয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধা