সোমনাথ মিত্র,হুগলি: পারিবারিক অশান্তির জেরে এক যুবককে মারধর করে খুনের (Murder Case) অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম কৃষ্ণেন্দু দাস। বয়েস হয়েছিল ৩০ বছর। আজ দুপুরে ঘটনাটি ঘটে চন্ডীতলার জনাই স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। ঘটনায় তিন অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে আটক করেছে চন্ডীতলা থানার পুলিশ (Police)।
দোলের দুপুরে বেধড়ক মার
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ,চন্ডীতলার জনাই স্টেশন সংলগ্ন মধ্যপাড়া এলাকায় দোলের দিন দুপুরে প্রতিবেশি রুনু সিং এর সঙ্গে বচসা শুরু হয় কৃষ্ণেন্দু দাসের।বাড়ির ভিটে নিয়ে দুই পরিবারে বিবাদ দীর্ঘদিনের। অভিযোগ, আজ দুপুরে, প্রতিবেশী রুনু সিং ও তার দুই ছেলে বুদো আর বাবু কৃষ্ণেন্দুর উপর চড়াও হয়। উঠোনে ফেলে লাথি, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। মদের বোতল দিয়েও মারা হয় বলে অভিযোগ।
এগিয়ে এলেন মা, হাসপাতালে নিয়েও শেষ রক্ষা হল না
ছেলেকে বাঁচাতে মা যুথিকা দাস এগিয়ে যান।তাকেও ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। মারের চোটে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কৃষ্ণেন্দু দাস। এরপর পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয়রা আহত যুবককে উদ্ধার করে চন্ডীতলা গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় চন্ডীতলা থানার পুলিশ রুনু সিং-কে গ্রেফতার করে। তার দুই ছেলে ঘটনার পর থেকে পলাতক।
আরও পড়ুন, অনুদাকে দিল্লিযাত্রার শুভেচ্ছা', রুদ্রনীলের 'অনুমাধব ৩' -তে নিশানায় কে এবার ?
'ফাঁসি চাই', দাবি মৃত যুবকের মা ও দিদির
মৃত যুবকের মা যুথিকা দাস বলেন,'আজকে হঠাৎ সবাই মিলে ফেলে দিয়ে পেটে, বুকে, মাথায় লাথি মারে। মদের বোতল দিয়ে মাথায় মারে। অনেকদিন আগে অশান্তি ছিল, তাই ওদের সাথে কোন কথাই ছিল না। আজ হঠাৎ করে মারে। আমি ওদের ফাঁসি চাই।'মৃতের দিদি অর্পিতা সাঁতরা বলেন, 'ও আমার একমাত্র ভাই। আমাকে যখন খবর দিল যে, ভাইকে এমন মেরেছে ও নিঃশ্বাস নিতে পারছে না। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি মারা গেছে। বহুদিন আগে অশান্তি ছিল। আজকে কিছুই হয় নি। কিন্তু এমন মারল আমার ভাইকে শেষ করে দিল। ওদের যেনও ফাঁসি হয়।' হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমনদ্বীপ জানান, 'অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।'