কলকাতা: কবিতার শব্দে আক্রমণ শানানো এই প্রথমবার নয়। আগেও বহুবার রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বরা তাঁর কবিতায় প্রশ্নবাণের কাঠগোড়ায় দাঁড়িয়েছেন। খোঁচা লেগেছে বই কি। পাল্টা আক্রমণও এসেছে তাই ভুরি ভুরি। তবে এদিনটা অবশ্যই বিশেষ দিন। একদিকে রঙের উৎসব। অন্যদিকে অনুব্রতকে (Anubrata Mandal) নিয়ে দিল্লি যাত্রার ইস্যুতে মন্তব্যে এবং ভূমিকায় ততটাই যেন রঙিন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। বিজেপি নেতাদের কেউ দিল্লিতে গুড় বাতাসা বিতরণ করছেন, কেউবা কলকাতায় বসে কটাক্ষ করে লস্যি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন, আর এমন আবহে 'অনুমাধব ৩' নামকরণে উড়ানের ইমোজি দিয়ে কবিতা শোনালেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh)। সঙ্গে লিখলেন, 'সবাইকে দোলযাত্রার শুভেচ্ছা। অনুদাকে দিল্লিযাত্রার শুভেচ্ছা।'
কবিতার শুরুতেই রুদ্রনীল বলেন,' অনুমাধব, অনুমাধব চললে মামার বাড়ি, দোলের দিনে খেললে না রঙ , তোমার সঙ্গে আড়ি। তোমার পাপের সঙ্গী যারা, বিদায়বেলা এসে, মনখারাপের পিচকিরিতে রং ভরেছে ঠেসে।' এবার প্রশ্ন হচ্ছে কারা 'মনখারাপের পিচকিরিতে' রং ঠেসে ভরলেন ? কারাইবা সেই 'পাপের সঙ্গী' ? নাম না করে এদিন কাদেরকে তোপ দাগলেন রুদ্রনীল ?
প্রসঙ্গত, কখনও ‘বীর’, কখনও ‘বেচারা’। প্রথম থেকেই পার্থ-র পাশে না থাকলেও, জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে থাকতে দেখা গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে। তারপর লোকসভা ভোট। কিন্তু, বীরভূমে তৃণমূলের ভোট-ম্যানেজার অনুব্রত মণ্ডল এখন গরু পাচার মামলায় জেলবন্দি। তবে, দলনেত্রী সেই গোড়া থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের পাশে। আর এবার সেই অনুব্রতকেই দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর এদিন টুইটে দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বীরভূমের ডাকাত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'বীর'কে টানতে টানতে সিবিআই-ইডি নিয়ে গেল, গুণ্ডা ভাইদের সাহস হল না আটকানোর।' তবে এদিন তিনি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাসকদলকেও টুইটে তোপ দাগতে ছাড়েননি তিনি। এবিপি-কে জানালেন নিজের প্রতিক্রিয়া। বললেন, 'দিল্লিতে লস্যি খাবেন' অনুব্রত।
আরও পড়ুন, 'দিল্লির লস্যি খাবেন', দোলে অনুব্রত-র দিল্লি যাত্রা নিয়ে বার্তা দিলীপের
পাশাপাশি এদিন এবিপি-কে অনুব্রত-র দিল্লি যাত্রা ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, একটা জিনিস কদিন ধরে আলোচনা হচ্ছিল যাবেন কি, যাবেন না, আমি বলেছিলাম, আমাদের সংবিধান, আমাদের বিচারব্যবস্থার মধ্যে সেই ক্ষমতা আছে। যে একজন এরকম অপরাধীকে নিয়ে যাবে দিল্লিতে, এবং তদন্তে তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে। সাধরণ মানুষের যে আস্থা আছে, সেটা প্রমাণিত হবে। আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা। কারণ প্রথম থেকেই পুলিশের সঙ্গে তার ভাল সম্পর্ক' বলে কটাক্ষ করেন তিনি। মূলত গতকালই দিল্লি যাত্রার জট কেটে গেছিল। সকাল ৬.৪০-এ কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় আসানসোল জেল থেকে বার করা হল অনুব্রত মণ্ডলকে। জেল থেকে বেরোনর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ খোলেননি অনুব্রত মণ্ডল।