সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর: সমুদ্র স্নানে গিয়ে আর ফেরা হল না। পুরী বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু দুই যুবকের। মৃত দুই যুবকের নাম অজয় দাস এবং অরিন্দম দাস। দুজনেই শ্রীরামপুরের বাসিন্দা।


বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু: শ্রীরামপুর বঙ্গলক্ষ্মী বাইলেন এলাকার বাসিন্দা অজয় দাস ও অরিন্দম দাস। মোট ছয় বন্ধু একসঙ্গে পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন। পরিবার সূত্রে খবর, এর আগে আট বার বেড়াতে গিয়েছেন বন্ধুদের সঙ্গে। গতকাল সকালে পুরীতে পৌঁছন তাঁরা। অরিন্দমের পরিবার সূত্রে খবর, হোটেলে পৌঁছে ভিডিও কলে কথাও হয়। সেটাই শেষ কথা।                                  


জানা গিয়েছে, গতকাল পুরী পৌঁছানোর পর সমুদ্রে স্নান করতে যান। বাকি চার বন্ধু স্নান সেরে উঠে এলেও, অজয় আর অরিন্দম তলিয়ে যায়। ঘটনায় শোকস্তব্ধ দুই পরিবার। অজয়ের দাদা সুভাষ বলেন, “ভাই টোটো চালাত। সময় পেলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যেত। এর আগে আট বার পুরী গেছে ওরা। এবার যে কী হল!’’ অরিন্দম ইনসুরেন্স এজেন্টের কাজ করতেন। তাঁর মা সুদীপ্তা দাস বলেন, “ছেলে হোটেলে ঢুকে ফোন করেছিল। তারপর আর কথা হয়নি। বারোটার পর হয়ত স্নান করতে জলে নেমেছে। পাঁচটার পর থানা থেকে ফোন করে বলল, আপনার ছেলে মারা গেছে।’’                                     


চলতি সপ্তাহে পুরীর সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে মৃত্যু বাবা ও ছেলের (Death Incident in Puri)। শিবপুর থানার অন্তর্গত এক নম্বর আচার্জী পাড়া লেনের এক পরিবার গত পয়লা মে পুরীর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এই বাড়ির পাঁচ সদস্য ছিলেন। পুরী বেড়াতে গিয়েছিলেন রঞ্জন দাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী, ছেলে, ভাগ্নে এবং তাঁর মা।  সমুদ্রে স্নান করার সময় তিনজন তলিয়ে যায়। ভাগ্নে সায়ন মাইতিকে তাড়াতাড়ি উদ্ধার করতে পারে ওখানকার নুলিয়ারা। কিন্তু বছর ৫২-রক রঞ্জন দাস এবং তাঁর বছর ১৬-র ছেলে উদ্ধার করতে একটু সময় লাগে। উদ্ধার করার পর তাঁদেরকে পুরীর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সায়ন মাইতি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।


আরও পড়ুন: Weight Loss: অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর পর তা যেন আর ফিরে না আসে, নিজের খেয়াল রাখুন নিয়ম মেনে