সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: বাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হলেন তিন জন। রবিবার হুগলির (Hooghly) পান্ডুয়ায় এই ঘটনা ঘটে। জখমরা সকলেই হাসপাতালে ভর্তি।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা:
দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে এমন ঘটনা ঘটেছে। পান্ডুয়ার জামগ্রাম মন্ডলাই পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জামগ্রাম এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। জখমরা হলেন কৃষ্ণ রায়, পল্লব রায় এবং সমরেশ হালদার। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, কৃষ্ণ রায় ও পল্লব রায় পান্ডুয়া থেকে জামগ্রামে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় উল্টো দিক থেকে অর্থাৎ পাঁচপাড়া থেকে পান্ডুয়ার দিকে আসছিলেন সমরেশ রায়। সেই সময় জামগ্রামের কাছে দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। কাছেই ছিলেন অটোচালকরা। তাঁরাই তিনজনকে উদ্ধার করে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে চিকিৎসার জন্য। তিনজনেরই চোখে, পায়ে ও মাথায় আঘাত লেগেছে।
অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত:
পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার (Treatment) পর সমরেশকে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কৃষ্ণ ও পল্লবকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
প্রায় একই রকমের একটি ঘটনা ঘটেছিল বৃহস্পতিবার রাতে। মুর্শিদাবাদে কান্দি থানা এলাকায় দুটি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় এক তরুণের মৃত্যু হয়, আর একজন গুরুতর জখম হন। দুটি বাইকই প্রবল গতিতে ছিল। তার জন্য শেষ পর্যন্ত কেই আর বাইক থামাতে পারেননি।
সারা রাজ্যেই বিভিন্ন সময় মোটরবাইক দুর্ঘটনার খবর মেলে। অনেকসময়েই তার পিছনে মূল কারণ থাকে অতিরিক্ত গতি এবং হেলমেট না পরা। সম্প্রতি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন রুখতে কড়া মোটর নিয়ন্ত্রণ আইন চালু করা হয়েছে। জরিমানার অঙ্কও অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। তবুও এমন দুর্ঘটনা ঠেকানো যাচ্ছে না। অতিরিক্ত গতিতে মোটরবাইক চালাতে গিয়ে প্রায়শই দুর্ঘটনার বলি হচ্ছে তরুণ প্রাণ। কখনও প্রাণ না গেলেও গুরুতর ভাবে জখম হতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কিছুটা কমলেও, রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ আড়াই হাজারের ওপরেই