সোমনাথ মিত্র ও কমলকৃষ্ণ দে,পাণ্ডুয়া: হুগলির পাণ্ডুয়ায় ফিল্মি কায়দায় শ্যুটআউট ( Shoot Out) । গাড়ি করে এক ব্যক্তিকে নিয়ে এসে জিটি রোডের ওপর গুলি করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। পালানোর সময় এক জনকে ধরে ফেলে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।


ফিল্মি কায়দায় শ্যুটআউট: পুলিশ সূত্রে খবর,বর্ধমানের (Burdwan) দিক থেকে একটি গাড়ি করে আসে ৪ দুষ্কৃতী। ওই গাড়ি থেকেই ব্যক্তিকে জিটি রোডের ওপর নামিয়ে গুলি করে দুষ্কৃতীরা।  গাড়ি নিয়ে পালানোর সময় ধাওয়া করে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলে পুলিশ। বাকি তিন জন অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আটক করা হয়েছে গাড়িটি। এখনও পর্যন্ত কারও পরিচয় মেলেনি। কী কারণে গুলি, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


গত সপ্তাহে উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে শ্যুটআউট  গুলিতে মৃত্যু হয় এক যুবকের, আহত হয়েছেন ৩ জন। তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের মদতে গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার ১১। মূল অভিযুক্ত প্রধান সহ আরও ৪ জনকে গ্রেফতারের দাবিতে মৃতদেহ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত প্রধানকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে, ভরসন্ধেয় আসানসোলে হোটেলে ঢুকে মালিককে গুলি করে খুন করে ২ দুষ্কৃতী। ভয়ানক সেই মুহূর্তের ছবি ধরা পড়ে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায়। মন্ত্রী মলয় ঘটকের বাড়ি এবং পুলিশ পোস্টের কাছেই এমন দুঃসাহসিক খুনের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে আসানসোল শহরে। হত্যার নেপথ্যে ব্যবসায়িক শত্রুতা, না অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


আসানসোল, গোয়ালপোখরের পর  জগদ্দলে থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরে চলে গুলি। তৃণমূল নেতাকে লক্ষ করে গুলি ও বোমা ছোড়ার অভিযোগ। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান ওই ব্যক্তি। রবিবার সকাল ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে জগদ্দল থানার পালঘাট রোডে।  আক্রান্ত হয়েছেন, ভাটপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি অশোক সাউ। তিনি জানিয়েছেন, রোজকার মতো বাজারে গিয়েছিলেন।  অভিযোগ, সেই সময় প্রথমে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ২টি ছোড়ে ৪-৫ জন দুষ্কৃতী।  তারপর ছোড়া হয় গুলি। মাটিতে বসে পড়ায় গুলি মাথায় লাগেনি। দু্ষ্কৃতীদের ছোড়া একটি গুলি অশোকের পিঠ ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। প্রাণ বাঁচাতে থানায় আশ্রয় নেন শাসক-নেতা। আক্রান্ত তৃণমূল নেতার চাঞ্চল্যকর দাবি, তিনি জানতে পেরেছেন, জেলে বসে কেউ খুন করার ছক কষছিল।


আরও পড়ুন: DA Agitation: হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও সিদ্ধান্তে অনড়, দ্বিতীয় দিন কর্মবিরতিতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা