সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: পুরভোটে 'নাম-বিভ্রাট' (Same name)। হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় পুরভোটে একই নামের দুই প্রার্থীর লড়াই। নাম এক হলেও ভোটারদের বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই, ভোট দেবেন দলীয় প্রতীক দেখে, তৃণমূল প্রার্থীর (TMC Candidate) গলায় প্রত্যয়ের সুর। শাসক-ভীতি কাটিয়ে সকলে ভোট দিতে পারলে তিনিই জিতবেন, আশা বিজেপি প্রার্থীর (BJP Candidate)।
এ যেন আর এক ভ্রান্তিবিলাস! নাম-পদবী সব এক। শুধু রাজনীতির পথটা আলাদা। হুগলির বাঁশবেড়িয়ার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে এবার ভোটারদের নাম বিভ্রাটের গেরোয় পড়ার সম্ভাবনা।
তৃণমূল এই ওয়ার্ডে প্রার্থী করেছে বিশ্বজিৎ দাসকে। তিনি বিদায়ী কাউন্সিলর। তাঁর লড়াই বিশ্বজিৎ দাসের সঙ্গেই। তবে এই বিশ্বজিৎ বিজেপির প্রার্থী।
দুই প্রার্থী ভোট প্রচারে বেরিয়ে মুখোমুখি হচ্ছেন। কখনও ঢুকে পড়ছেন একই বাড়িতে। এক নাম নিয়ে চূড়ান্ত বিভ্রান্ত ভোটাররা।
আরও পড়ুন: Municipal Election 2022: তৃণমূল প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে ভোট চাইলেন বিজেপি প্রার্থী, তুঙ্গে চর্চা
২০১৫-এর পুরভোটে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিশ্বজিৎ দাসকে হারিয়েই কাউন্সিলর হয়েছিলেন তৃণমূলের বিশ্বজিৎ দাস। তবে এক নামের প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়ে এবারও কোনও দুশ্চিন্তা নেই বলে দাবি তৃণমূল প্রার্থীর।
তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী কাউন্সিলর বিশ্বজিৎ দাসের কথায়, 'প্রার্থীর নামের থেকেও প্রতীক বড়। ভোটাররা প্রতীক চিহ্ন দেখে ভোট দেবেন। বিজেপির এই প্রার্থীকে আগেও হারিয়েছি, আবারও হারাব।
অন্যদিকে বিজেপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, 'মানুষ ভয় ভীতি কাটিয়ে ভোট দিতে পারলে আমিই জিতব।'
বাঁশবেড়িয়া পুরসভার মোট ওয়ার্ড ২২টি। গত পুরভোটে তৃণমূলের দখলে ছিল ১১টি ওয়ার্ড। সিপিএম ৭ ও ৪টি ওয়ার্ড কংগ্রেসের দখলে ছিল। একুশের বিধানসভা ভোটের পুরসভা ভিত্তিক ফলের নিরিখে বিজেপি এগিয়ে ১৪টি ওয়ার্ডে, তৃণমূল ৮টি ওয়ার্ডে এগিয়ে।
গল্পের ভ্রান্তিবিলাসে বিভ্রাটের কেন্দ্রে ছিল একই রকম নাম ও চেহারার মিল। বাস্তবের ভ্রান্তিবিলাসের কেন্দ্রে একই নামের দুই প্রার্থী। বাঁশবেড়িয়ায় পুরভোটের ফল বেরনোর পর স্পষ্ট হবে কোন নামের পাল্লা ভারী।