সোমনাথ মিত্র, সিঙ্গুর (হুগলি) : রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি (State Corona Situation) উদ্বেগজনকই। স্বাস্থ্য দফতরের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৯ হাজারের বেশি। হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরেও সংক্রমণের গ্রাফ নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে আগামীকাল, সোম ও মঙ্গলবার সিঙ্গুর ১ নম্বর গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত দোকান, বাজার বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।


এনিয়ে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সিঙ্গুর বাজার সহ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে। জরুরি পরিষেবা ছাড়া এলাকার সমস্ত দোকানপাট, হাট-বাজার দু'দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে। এলাকার ব‍্যবসায়ীদের আগামী দুই দিন ব‍্যাবসা বন্ধ রাখার জন‍্য অনুরোধ করা হচ্ছে।


কলকাতার পাশাপাশি হুগলি জেলাতেও সংক্রমণের হার বাড়ছে উদ্বেগজনকভাবে। আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন একাধিক স্বাস্থ‍্যকর্মীও। জেলা স্বাস্থ‍্য দফতরের খবর অনুযায়ী, গত শুক্রবার পর্যন্ত হুগলি জেলায় ৬৩ জন মেডিক‍্যাল অফিসার এবং ২৭৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তবে, নিভৃতবাস কাটিয়ে আস্তে আস্তে স্বাস্থ‍্যকর্মীরা পুনরায় কাজে ফিরতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। এরই মধ‍্যে রাজ‍্য সরকার করোনা বিধি কিছুটা শিথিল করেছে। তবে, কিছু জায়গায় সংক্রমণ বেশি থাকায় স্থানীয় স্তরে আলোচনার ভিত্তিতে ছোট ছোট এলাকা বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সেই অনুযায়ী, সিঙ্গুর ব্লকের সিঙ্গুর -১ নম্বর গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকার সমস্ত দোকান বাজার সোম ও মঙ্গলবার পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিন্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত।


আরও পড়ুন ; আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও করোনায় মৃত্যু বাড়ল রেকর্ড সংখ্যায়, রাজ্যে বাড়ছে উদ্বেগ


প্রধান কল্পনা দাস বলেন, করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিডিও দফতর থেকে দুই দিন পঞ্চায়েত এলাকা বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই অনুযায়ী স্থানীয় ব‍্যবসায়ী সমিতি সহ প্রশাসনের সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এলাকায় ব‍্যাবসা বন্ধ রাখার কথা বলা হচ্ছে মাইকিং করে। আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


পঞ্চায়েতের এই সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছেন স্থানীয় ব‍্যবসায়ীরা।