সোমনাথ মিত্র, হুগলি:   হুগলির (Hooghly)  সিঙ্গুরে (Singur) বিজেপির ধর্নামঞ্চে (BJP sit-in) তৃণমূলের (TMC) শুদ্ধিকরণ (Purification)। বেচারাম মান্নার নেতৃত্বে ছেটানো হল গোবর, গঙ্গাজল। ঢোল বাজিয়ে হল হরিনাম সংকীর্তন।মহিলাদের হাতে হাতে ঝাঁটা। গোবর জল ছিটিয়ে দেওয়া হল ঝাঁট। হল  ঢোল বাজিয়ে নাম-সংকীর্তনও। সেই সঙ্গে মুখে মুখে ছিল স্লোগান। 
এই শুদ্ধিকরণ কর্মসূচী সম্পর্কে বেচারাম মান্নার দাবি, গত তিনদিন ধরে এখানে বিজেপি যা করেছে, তা কোনও আন্দোলন নয়। আন্দোলনের নামে নাটক। পুরনির্বাচনের মুখে সিঙ্গুরে একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করে ভোটের মুড ঘোরানোর চেষ্টা করেছিল বিজেপি। কিন্তু সিঙ্গুরের মানুষ সেই প্ররোচনায় পা দেননি। বেচারাম আরও বলেছেন, বিশ্বাসঘাতকের দল এখানে এসে সিঙ্গুর আন্দোলনের পিতৃভূমিকে অশুদ্ধ করে গিয়েছে। তাই আজ সিঙ্গুর আন্দোলনের কৃষক রমণীরা ২১ টা লেবু, ২১ টা লঙ্কা, এমনকী, গঙ্গা থেকে গঙ্গা জল নিয়ে এসে এই মাটিকে শুদ্ধ করেছেন। 


Burdwan: বর্ধমানে একের পর এক বাড়িতে চুরি, চৌর্যবৃত্তি রুখতে কঠোর সিদ্ধান্ত পুলিশের


এই ঘটনায় এখনও বিজেপির কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। সিঙ্গুরে বিজেপির তিনদিনের কর্মসূচী যেখানে শেষ হয়েছিল, সেখানে এভাবে শুদ্ধিকরণ করল তৃণমূল। 


কৃষকদের বিভিন্ন দাবি দাওয়াকে সামনে রেখে সিঙ্গুরে বিজেপির ধর্না অবস্থানের গতকাল ছিল তৃতীয় তথা শেষ দিন। উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পাল। তিনদিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি চললেও যোগ দেননি সিঙ্গুরের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। কর্মসূচির কথা জানতেন না বলে দাবি রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যর। ওঁর ছেলে ফোন ধরেছিল, কর্মসূচির কথা জানতেন, পাল্টা দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার। সিঙ্গুরের এই ধর্না অবস্থানে যোগ দেননি হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। কর্মসূচির কথা দেরিতে জেনেছি, সংসদের অধিবেশনে দিল্লিতে থাকায় যোগ দিতে পারিনি বলে জানিয়েছেন লকেট।


এরইমধ্যে গতকাল বিজেপির এই কর্মসূচী শেষ হয়। কৃষকদের দাবিদাওয়া নিয়ে  সিঙ্গুরে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছিল বিজেপির কিষাণ মোর্চার ধর্না।