সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: হাসপাতালের দোতলায় ভর্তি থাকা রোগীকে পাওয়া গেল হাসপাতাল (Hospital) চত্বরের নর্দমার পাশে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Uttarpara State general hospital)। রোগীর দাবি, ওপর থেকে কেউ তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সুপার। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


হাসপাতালের নর্দমার পাশে পড়ে রোগী। হাতে লাগানো রয়েছে স্যালাইনের চ্যানেল। কাতরাচ্ছেন যন্ত্রণায়। এখন প্রশ্ন উঠছে কী করে এখানে এলেন রোগী? তাঁর দাবি, কেউ তাঁকে ওপরের তলা থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে হুগলির উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।


প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ হাসপাতাল চত্বর থেকে আচমকা বাঁচাও বাঁচাও চিৎকারে ছুটে যান তাঁরা। দেখেন মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন এক রোগী।  


অভিযোগকারী রোগী যদু দাস বলেন, আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, বাঁচাও বাঁচাও শুনে যাই। দেখি নর্দমার সাইডে পড়ে। আমরা তুলে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পেটে ব্যথা নিয়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হন উত্তরপাড়ার মাখলার বাসিন্দা যদু দাস। রোগীর বেড ছিল দোতলায়। বুধবার রাতে তাঁকে পাওয়া যায় হাসপাতাল চত্বরের নর্দমার পাশে।


হাসপাতালে ভর্তি রোগী  কী করে নর্দমার পাশে গেলেন, সত্যিই তিনি পড়ে গিয়েছেন, না কি তাঁকে কেউ ঠেলে ফেলে দিয়েছেন, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সুপার। উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপার দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, হাসপাতালে এক রুগি বাইরে পড়েছিল। কী কারণে বাইরে গেল তা তদন্ত কমিটি দেখবে। এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা  শ্যামল বসু বলেন, "পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি হল। তাকে পাওয়া গেল ড্রেনে। এ থেকে বোঝা যায় চিকিৎসা ব্যবস্থার হাল।" অন্যদিকে,  উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার প্রশাসক  দিলীপ যাদব বলেন, "কোনওকিছু ঘটে থাকলে তদন্ত হবে। গাফিলতি থাকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিজেপি সব হারিয়ে রাজনীতি করা শুরু করেছে।" এদিকে, বৃহস্পতিবারই ওই রোগী বাড়ি ফিরেছেন।