হুগলি: শ্রীরামপুরের ওয়ালস হাসপাতালের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে নামবিভ্রাট! তার জেরে  ছুটি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই থানায় তলব! আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রোগীকে ফের ভর্তির নির্দেশ দেওয়ার উঠল অভিযোগ! ঘটনাটি ঘটেছে বৈদ্যবাটিতে। 


পা ভেঙে এক মাস চার দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর গতকাল ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন বিশ্বজিৎ দাস। সাইকেলের খেলা দেখিয়ে সংসার চলে তাঁর। সোমবার শ্রীরামপুরের ওয়ালস হাসপাতাল থেকে তাঁকে যে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে তাতে নাম রয়েছে ভদ্রেশ্বরের কিশোরী সাউয়ের! এরপর মঙ্গলবার সকালে শ্রীরামপুর থানা থেকে পুলিশের ফোন আসে তাঁর কাছে। 'আপনি কাউকে না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন,থানায় এসে দেখা করুন'।

ঘটনায় স্পষ্টতই হতবাক হয়ে যান বিশ্বজিৎ  বাবু ও তাঁর পরিবার। গত ১৯ জুলাই বৈদ্যবাটিতে সেই সাইকেল দূর্ঘটনায় বাঁ পায়ের হাঁটু ভেঙে যায়।শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। গত ১১ অগাস্ট অস্ত্রোপচারের পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। সোমবার দুপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে। সন্ধ্যায় ছেলে নোটনকে দিয়ে সই করিয়ে বিশ্বজিৎকে ছুটি দিয়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এরপর মঙ্গলবার সকালে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ফোন করে বলে, হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ ডায়রি করা হয়েছে। থানায় গিয়ে দেখা করতে হবে বিশ্বজিৎ দাসকে। হাসপাতাল থেকে ছুটির যে নথি দেওয়া হয়েছে, তা আসলে ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা কিশোরী সাউয়ের ডিসচার্জ পেপার। বিশ্বজিৎ দাসের ছুটি হলেও তাঁকে কাগজ দেওয়া হয়েছে কিশোরী সাউ এর। অর্থাৎ কিশোরী সাউ এর খাতায় কলমে ছুটি হয়ে গেছে আর বিশ্বজিৎ দাস হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ! পুলিশ তাঁকে খুঁজছে।

অন্যদিকে কিশোরী সাউ এর ছেলে জানান, ' বাবার ছুটির কাগজ অন্য লোককে দিয়ে দেওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও আবার ভর্তি করাতে হল। '
ওয়ালস হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত সরকার জানান, 'অনেক রোগীর ছুটি হয় একদিনে। তাই হয়ত কোনো সমস্যা হয়েছে। হাসপাতাল রেকর্ডে নাম থাকলেও রোগীকে বেডে পাওয়া না যাওয়ায় থানায় জানানো হয়েছে। কেন এরকম হল তা খতিয়ে দেখা হবে। '