সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : এবার পুজোর ফ্যাশনেও উঠে এল রাজ্য সরকারের একাধিক জনমুখী প্রকল্প। কোনও শাড়িতে একাধিক সরকারি প্রকল্পের ছবি। কোনও শাড়িতে বিশ্ববাংলার লোগো বা কন্যাশ্রীর কথা।

পুজোর আগে এটাই শেষ সপ্তাহ। চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। নতুন ধরনের ডিজাইনের শাড়ির বাজার ভালই, বলে দাবি হুগলির শ্রীরামপুরের ব্যবসায়ীদের। শাড়ি ব্যবসায়ী শুভাশিস দে জানান, মার্কেটে ভাল ধরেছে এই প্রকল্প, ভাল বিক্রি হচ্ছে, সমস্ত দিদির প্রকল্প ! 


 ক্রেতা পাপড়ি ঘোষ জানান,  শাড়িতে আছে নানারকম লোগো। বিশ্ব বাংলা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এই শাড়িগুলো খুব সুন্দর আর কমফর্টেবলও। 
আরও পড়ুন : বিয়ের পর প্রথম শারোদৎসবই নীলাঞ্জনকে ছাড়া ... পুজোর প্ল্যান থেকে গান, আড্ডায় ইমন


পুজোর ফ্যাশনে, রাজ্য সরকারের প্রকল্প ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল বসু জানান, ' রাজনৈতিক দল সাপোর্ট দিয়ে এটা করছে। উচিত ছিল ফ্রিতে বিতরণ করা, এসব প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীরামপুর-হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ' মানুষ যেহেতু রাজ্যের প্রকল্পের ছবি দেওয়া শাড়ি গ্রহণ করেছে তাই ব্যবসায়ীরা এধরনের শাড়ি তৈরি করছে, এ ধরনের জামা কাপড় জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শাড়িতে রাজ্যের প্রকল্প নিয়ে রাজনৈতিক আকচাআকচি থাকলেও, ক্রেতাদের একাংশের মতে এবার নতুন ভাবনা ধরা পড়েছে। 


করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে শঙ্কা। আতঙ্ক। পুজো মণ্ডপে এবছরও ঢুকলে পারবেন না দর্শনার্থীরা, জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আইনি বাধা নিষেধ, চিকিৎসকদের সতর্কবার্তা, এতকিছুর পরেও মানুষের বাঁধনছাড়া উল্লাসে ঘাটতি নেই।  পুজোর আগে শেষ রবিবার কেনাকাটি করার ভিড় উপচে পড়ল বিভিন্ন বাজারে। কলকাতা শহর থেকে শহরতলি, সবজায়গায় চোখে পড়ার মতো ভিড়। 


পুজোয় করোনা সংক্রমণ রুখতে  শ্রীরামপুর পৌরসভা ও চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ ক্রমাগত মাইকিং চালায়। ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে বারবার করে মাস্ক পরতে বলা হয়। যাঁদের মাস্ক নেই, তাঁদের হাতে মাস্ক তুলে দেয় পুলিশ।  কিন্তু তা সত্ত্বেও কারও অজুহাত, গরম লাগছে, তো আরেকজনের অজুহাত... যাঃ বাড়িতে মাস্ক ফেলে এসেছি !  শ্রীরামপুর পৌরসভার পৌরপ্রশাসক গৌরমোহন দে নিজেও মাইকে সতর্কবার্তা প্রচার করেন। তিনি বলেন, করোনা যেন দুর্গা পুজোয় কাঁটা হয়ে না দাঁড়ায় ।