চন্দননগর (হুগলি): চন্দননগর পুরভোটের প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগ। কমিশনের নির্দেশ অমান্য করায় বিজেপি বিধায়ক, জেলা সভাপতি-সহ ৫ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, এ দিন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষের নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী, সমর্থক নিয়ে মিছিল করেন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সন্ধ্যা দাস। পুলিশ ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট, অভিযোগ ধৃত বিজেপি বিধায়কের। বিজেপিতে শৃঙ্খলা নেই, এই ঘটনায় তা ফের প্রমাণ হল, প্রতিক্রিয়া তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
অন্যদিকে বিধাননগরেও একই ছবি। সেখানে পুরভোটের প্রচারে কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এদিন হুডখোলা গাড়িতে চড়ে কর্মীদের নিয়ে প্রচার করেন ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মিনু দাস চক্রবর্তী। তৃণমূল প্রার্থীর মুখে ছিল না মাস্ক। করোনাকালে শাসকদলের প্রার্থীর কোভিড বিধিভঙ্গ ঘিরে উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: ‘আগামী ২ মাস সব স্থগিত রাখা উচিত’ অভিষেকের ব্যক্তিগত মতকে সমর্থন চিকিৎসক কুণাল সরকারের
২২ জানুয়ারি বিধাননগর পুরসভার ভোট। রবিবার সকালে প্রচার করলেন তৃণমূলের দুই প্রার্থী। এদিন সল্টলেকের বিএফ ব্লকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। অন্যদিকে, হুডখোলা গাড়িতে চড়ে সিকে ব্লকে প্রচার করলেন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণা চক্রবর্তী।কোভিড বিধি মেনে প্রচার করেন শাসকদলের দুই প্রার্থী।
অন্যদিকে কোভিড বিধি মেনে অভিনব উপায়ে প্রচার করেন বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানা। এদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও প্রার্থী হিসেবে তাঁর ছবি দেওয়া লিফলেট।
সল্টলেকের এফই ব্লকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেন ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী বাসব বসাক। একইভাবে প্রচার করেন বিজেপি প্রার্থী মলি পালও।