মোহন দাস, হুগলি: রূপনারায়ণের জল ঢুকে ফের প্লাবিত হুগলির খানাকুলের একাধিক গ্রাম। কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ধান্যঘোরী গ্রামপঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা। বাঁধ মেরামতি এবং ত্রাণ বিলি নিয়ে প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। এপ্রসঙ্গে বিডিওকে ফোন করা হলে, তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে।
এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। বন্যার ক্ষতর ওপর নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টির মার। প্রায় দেড় মাস আগে নদীর জলের তোড়ে ভেঙেছিল যে বাঁধ, জোড়াতাপ্পি দিয়ে কোনওমতে সামাল দেওয়ার চেষ্টা হলেও নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে আবার সেখানে বিপর্যয়। বাঁধ ছাপিয়ে, বালির বস্তা ভেদ করে রূপনারায়ণের জল ঢুকছে হুগলির খানাকুল দুনম্বর ব্লকের একাধিক গ্রামে। ডুবেছে ঘরবাড়ি থেকে চাষের জমি। কার্যত নদীর চেহারা নিয়েছে আরামবাগ বন্দর সড়ক। ধান্যঘোরী গ্রামপঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
খানাকুলের বাসিন্দা পূজা মালের কথায়, 'বাঁধ সেই ভাবে বাঁধা হচ্ছে না। যে বালির বস্তা দেওয়া হয়েছিল, সেটাও ভেঙে জল ঢুকছে। জল বাড়লে আমাদেরও ঘর ছাড়তে হবে।' ধান্যঘোরীতে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে ২৩ টি পরিবার। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া এক গ্রামবাসী শিবশঙ্কর সামন্ত জানিয়েছেন, ' শিলাবতী ও দ্বারকেশ্বরের সংযোগস্থল। তাই এখানে জলের চাপ বেশি। নিম্নচাপে আবার বৃষ্টি হলে আরও জল বাড়বে। '
এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন এলাকার তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধান। ধান্যঘোরী গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান বীণাপাণি ভৌমিকের কথায়, ' বাঁধ সেই ভাবে বাঁধা হয় না। সেচ দফতর সেভাবে বাঁধে না। জলের যা চাপ , তাতে প্রতি বছরই এরকম পরিস্থিতি থাকে। এবিষয়ে জানতে খানাকুল দুনম্বর ব্লকের বিডিওকে ফোন করা হলে, তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: রাতভর বৃষ্টিতে কার্যত বানভাসি কলকাতা, খুলে দেওয়া হয়েছে গঙ্গার লকগেট
আরও পড়ুন: Howrah Waterlogging : রাতভর প্রবল বর্ষণ, হাঁটুজল দাশনগর, সালকিয়া, রামরাজাতলায়, ভাসছে নিচু এলাকা