সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, পাণ্ডুয়া: হুগলির (Hoogly) বিজেপি (BJP) সাংসদের নিখোঁজ পোস্টার পড়ল পাণ্ডুয়ায় (Pandua)। বিডিও অফিস, পঞ্চায়েত অফিস ও তেলিপাড়া মোড়-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় আজ সকালেব এই পোস্টার দেখা যায়। তবে কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে সেটা জানা যায়নি। 


পোস্টারে লেখা 'নিখোঁজ সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee) সন্ধান চাই'। ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) পান্ডুয়া ব্লক সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ হুগলির সাংসদকে বহুদিন হুগলি জেলায় দেখা যায়নি। এই পোস্টটার আগেই মারা উচিত ছিল যারা মেরেছে তাদের বলব। পান্ডুয়ার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাকে খুঁজছে।'


২০১৯ সালে হুগলি লোকসভায় তৃনমূলের রত্না দে নাগকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলি লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে পান্ডুয়া একটি। সেই পান্ডুয়া থেকেই এবার বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রী হয়েছেন রত্না দে নাগ। অন্যদিকে চুঁচুড়া থেকে লড়াই করে তৃনমূলের অসিত মজুমদারের কাছে পরাজিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটে জেতার পর বিজেপির পক্ষে যে হাওয়া উঠেছিল বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর তা স্তিমিত হয়ে যায়।


লকেট চট্টোপাধ্যায়কে উত্তরাখণ্ডের নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়ে পাঠায় বিজেপি। হুগলি যবুমোর্চার সভপতি সুরেশ সাউ বলেন, সামনে পুরসভা নির্বাচন, তার আগে এই ধরনের পোস্টার আর মেরে তৃণমূল সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে। সাংসদ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।'


অন্যদিকে গতকাল থেকে সিঙ্গুরে শুরু হওয়ায় বিজেপি কিষান মোর্চার ধর্নায় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলেও লকেট চট্টোপাধ্যায় অনুপস্থিত ছিলেন। তা নিয়েও তৃনমূল কর্মীরা কটাক্ষ করেছেন।


এ প্রসঙ্গে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুদার বলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায় বিধানসভায় হেরে পালিয়ে গেছে। তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সে বিজেপি করবে নাকি তৃনমূল করবে নাকি চাঁদে গিয়ে দল করবে জানি না।' তিনি আরও বলেন, লকেট চট্টোপাধ্যায় অভিনয় করেও সাফল্য পাননি।' 


এ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য স্বপন পালের দাবি, 'সামনে থেকে লড়াই করতে না পেরে পিছন থেকে সাংসদের নামে কুৎসা করছে তৃনমূল। পান্ডুয়াতে তৃনমূলের মন্ত্রীকেও দেখা যায়না। লকেট চট্টোপাধ্যায় সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে রয়েছেন। তাকে দল উত্তরাখণ্ডের দায়িত্ব দিয়েছে। কোনও কাজ করতে পারছে না তাই তৃনমূল এসব করছে।'