সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, রিষরা (হুগলি): গাড়ি সরাতে বলায় ঘুষি মেরে বৃদ্ধের কান ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ,আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, মাঝরাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা গাড়িতে রাস্তা আটকে গিয়েছিল, যাতায়াতের সমস্যা হওয়ায় চার চাকা গাড়ি সরাতে বলা নিয়ে বচসা বাঁধে বৃদ্ধের সঙ্গে। এর পরেই অভিযুক্ত ব্যক্তি বৃদ্ধের কান ফাটিয়ে দেয় বলে  অভিযোগ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রাক্তন সেনাকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে রিষড়া (Risra) দাসপাড়া এলাকায়।


স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে রিষড়া পুরসভার প্রাক্তন কর্মী মদন গোপাল চন্দের (৬৫) বাড়ি রেলপার্ক এলাকায়। তিনি বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। নিউ দাসপাড়া দিয়ে ফেরার সময়ে দেখেন রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে আছে একটি গাড়ি। গাড়ির মালিক অচিন্ত বাগকে গাড়ি সরাতে বলেন তিনি।


এই নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সূত্রের খবর, এরপরই হঠাৎ করে মদন বাবুর বাঁ কানে ঘুষি মারেন অচিন্ত বাগ। কান ফেটে যায়। সেখান থেকে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চারটে সেলাই পড়ে কানে।


ঘটনা প্রসঙ্গে মদন বাবুর ছেলে নবজিৎ চন্দ বলেন, রাস্তার উপর গাড়ি রেখে রাস্তা জ্যাম করে দিয়েছিলেন প্রাক্তন ওই সেনাকর্মী। বাবা গাড়ি সরাতে বলায় অকথ্য ভাষায় কথা বলেন অভিযুক্ত। এরপর মারধর করলে কান ফেটে যায় বাবার। আমরা চিকিৎসা করিয়ে রিষড়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে।


উল্লেখ্য, হুগলির উত্তরপাড়ায় এক ব্যক্তির মাথা থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। মৃতের মেয়ের স্বীকারোক্তি, বাবা বার বার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলতেন, তাই রাগের মাথায় খুন করেছেন তাঁকে। আটক করা হয়েছে অভিযুক্তকে। অশীতিপর মাকে হাসপাতালে ভর্তি করে বাড়ি সিল করে দিয়েছে পুলিশ।


মৃতের মেয়ে ও অভিযুক্ত  কেয়া দাস কাঁদতে কাঁদতে বলেছে, বাঁশ নিয়ে আমার বাপি আমাকে তেড়ে এসেছে, তখন আমি হাত থেকে বাঁশ কেড়ে নিয়ে মেরেছি। বেশ করে মেরেছি। অনেকবার মেরেছি।


তাঁর হাত ধরেই হাঁটতে শেখা। সুখে-দুঃখে-আবদারে আহ্লাদী হাতে জড়িয়ে ধরা। সেই হাতেই বাবাকে খুন!হুগলির উত্তরপাড়ায় বাবা মাথা থেঁতলে খুনের অভিযোগ উঠল মেয়ের বিরুদ্ধে। মৃত অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী কালীপদ দাস (৮৩)।


ভদ্রকালীর প্রশান্ত দত্ত সরণির বাড়িতে বাবা-মায়ের সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বছর ৪০-এর বিবাহ বিচ্ছিন্না কেয়া দাস।পুলিশ সূত্রে খবর, বাবার সঙ্গে প্রায়ই অশান্তি হত মেয়ের। শনিবার সকালেও হয়েছিল। সেই বিবাদের মধ্যে আচমকাই তাঁর মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করেন কেয়া । মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কালীপদ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।


পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি প্রথমে বাড়ির পরিচারিকার নজরে আসে। তিনিই প্রতিবেশীদের জানান। বাথরুমের পাশেই মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ এসেছে। কী কারণে এই ঘটনা ঘটাল মেয়ে, তা জানার চেষ্টা চলছে।  মেয়েকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ।