সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: উত্তরপাড়ার (Uttarpara) পর শ্রীরামপুরের (Sreerampore) হাউজিং কমপ্লেক্স। তিনটি ভবনের চারটি ফ্ল্যাটে একসঙ্গে চুরি। চোর আলমারি ভেঙে নগদ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, রাতে ওই ফ্ল্যাটগুলিতে লোকজন  ছিলেন না। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Police)। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ (CCTV Camera Footage)। 


কেউ গিয়েছিলেন আত্মীয়ের বাড়ি, কেউ আবার বেড়াতে। ফ্ল্যাট খালি থাকার সুযোগেই দুঃসাহসিক চুরি শ্রীরামপুরের সুভাষনগর (Subhashnagar) হাউজিং কমপ্লেক্সের তিনটি বিল্ডিং-এ। রবিবার সকালে হাউজিং কমপ্লেক্সের তিনটি বিল্ডিং-এর চারটি ফ্ল্যাটে চুরির ঘটনা সামনে আসতেই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। তদন্তে নেমেছে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ (Srirampur Police Station)।


হাউজিং কমপ্লেক্সের (Housing Complex) নিরাপত্তা রক্ষীদের দেওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজে গভীর রাতে ধরা পড়েছে, ব্যাগ নিয়ে কয়েকজনের আনাগোনা। সেখানেই দেখা যাচ্ছে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির পাশ রয়েছেন দু’জন। তাঁরা আড়ালে চলে যাওয়ার পর সেই রাস্তাতেই বের হলেন তিন জন। তাঁদের কাছে বড় ব্যাগ।


এখানকার হাউজিং কমপ্লেক্সে রয়েছে ৬০০-র ওপর ফ্ল্যাট। মূল গেটে নিরাপত্তা রক্ষী, সিসি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও, কীভাবে চুরি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শ্রীরামপুর হাউজিং কমপ্লেক্সের  বাসিন্দা রঞ্জিতকুমার আর্য জানিয়েছেন,  'আমি গেছিলাম আত্মীয়ের বাড়ি। খবর পেয়ে এসে দেখি আলমারি ভেঙে গয়না, ক্যাশ টাকা নিয়েছে। একসঙ্গে কীভাবে হল বুঝতে পারছি না। যারাই কিছুদিন বাইরে গেছে তাদের ফ্ল্যাট। মনে হচ্ছে পরিকল্পনা করেই কাজ।'


হাউজিং কমপ্লেক্সের বাসিন্দাদের অভিযোগ, 'যে তলায় চুরি হয়েছে, সেখানকার অন্যান্য ফ্ল্যাটগুলির দরজা বাইরে থেকে আটকে দেওয়া হয়েছিল।' 


ওই কমপ্লেক্সের আরেক বাসিন্দা প্রভা মেহেতা বলছেন, বাড়ির বাইরে হ্যাজবোল্ট লাগানো হয়। ২৩ বছর ধরে রয়েছেন। এত বছর আগে কখনও এমনটা হয়নি। কোনও শব্দও শুনতে পাইনি।


জানা গিয়েছে, বিশাল হাউজিং কমপ্লেক্সে ঢোকার একাধিক গেট রয়েছে। মূল গেটের সামনেই নিরপত্তারক্ষীরা থাকতেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিরাপত্তারক্ষী-সহ বিল্ডিং-এর বাসিন্দাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।


শ্রীরামপুরের এই ঘটনার কিছুদিন আগেই উত্তরপাড়া স্টেশন সংলগ্ন একটি বেসরকারি আবাসনে একই কায়দায় চুরি হয়। পরপর ছ’টি ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তার সঙ্গে কি এই ঘটনার কোনও যোগ আছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।