সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি :  রাম মন্দির উদ্বোধন ও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে চুঁচুুড়া ষন্ডেশ্বর মন্দিরে পুজো যজ্ঞ করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। হুগলির সাংসদ মকর সংক্রান্তির পুণ্য লগ্নে বিজেপি নেতা কর্মীদের নিয়ে সারলেন যজ্ঞ। ২২ তারিখ রাম মন্দির উদ্বোধন। সেদিনই মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা। আর তার আগে দেশজুড়ে চলছে তারই আয়োজন। 


মকর সংক্রান্তির সকালে হুগলির ষণ্ডেশ্বরতলা মন্দিরে আসেন বিজেপি সাংসদ। তারপর বিরাট করে আয়োজন করেন পুজোআচ্চার। পুজো শেষে গঙ্গার ঘাটে শান্তি কল্যাণ যজ্ঞ সম্পন্ন করেন। এদিন পুজোর কাজ সেরে সাংসদ বলেন, 'রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে ২২ শে জানুয়ারি। তার আগে তাই মকরসংক্রান্তির মতো পবিত্র দিনে যজ্ঞ করলাম।'


২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাম মন্দির উদ্বোধনকে সামনে রেখে প্রচারে ব্যস্ত বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্দিরের উদ্বোধন করবেন। সেই আবহেই অযোধ্যা মন্দির নিয়ে মুখ খুলেছেন পুরীর গোবর্ধন পীঠমের শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী । তাঁর মতে ধর্ম এবং আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে রাজনীতির হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। এই প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'রামের আশীর্বাদ সবার মাথায় থাকুক। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে পাঁচশ বছর পর রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। সারা ভারতবর্ষ সনাতনী চিন্তা ভাবনার দিকে ঝুঁকেছে। আমরা মনে করি অশুভশক্তিকে বিদায় করে শুভশক্তিকে নিয়ে আসতে পারব। রাম সবার, আমরা প্রত্যেকে বলি, সবার মধ্যে ঈশ্বর আছেন। শঙ্করাচার্যের মতো যাঁরা বলছেন, এর মধ্যে রাজনীতি আছে, তারা যেন রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত না হন।'   


এর আগে রবিবারই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী বাঁকুড়ায় রামমন্দির সাফাই করে বাংলা থেকে তৃণমূলকে রাজনৈতিক ভাবে সাফাই করার ডাক দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। এদিন সকালে বাঁকুড়ার সতীঘাটে রামন্দিরে দলীয় কর্মী ও অনুগামীদের নিয়ে হাজির হন সুভাষ সরকার। সেখানে নিজে হাতে মন্দির সাফাই করেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। পরে তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর ডাকে এই কর্মসূচী। রামন্দির সাফাই করার পাশাপাশি আগামী লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে তৃনমূলকে রাজনৈতিক ভাবে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেওয়া হবে। এছাড়া,  বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁও বিজেপি কার্যকর্তাদের বিষ্ণুপুরে মদনমোহন মন্দির পরিষ্কার করেন। কখনও ঝাঁটা হাতে  পরিষ্কার করেন, আবার কখনও জল দিয়ে ধুয়ে দেন মন্দির।