ময়ূখঠাকুর চক্রবর্তী, সোমনাথ মিত্র ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: রিষড়ার (Rishra) ঘটনায় স্মারকলিপি জমা দিতে চন্দননগর কমিশনারেটে (Chandannagar Commissionarate) গেলেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায় (Locket Chatterjee)। এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা, মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের। চন্দননগর কমিশনারেটে ঢুকে স্মারকলিপি দিলেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বাইরে রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা (BJP Worker)।
কী বললেন লকেট? এ দিন স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) বলেন, এগুলো মমতা ব্যানার্জি পুরোপুরিভাবে এটা পূর্ব পরিকল্পনা করে, ভোটব্যাঙ্ক একসাথে করবার জন্য, সাগরদিঘি নির্বাচনে হেরে গেছে। মুসলিম ভোট ডিভাইড হয়ে গেছে। সব ভোটকে একসাথে করবার জন্য এই পরিকল্পনা নিয়েছে।
ডেপুটেশন ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি? বুধবার সকাল থেকে চন্দননগর কমিশনারেটে, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ডেপুটেশন ঘিরে পরিস্থিতি ছিল টানটান। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি, ধস্তাধস্তি, রাস্তায় বসে স্লোগানে । ধাপে ধাপে চড়ে উত্তেজনার পারদ । উত্তেজনার আবহে মঙ্গলবার হঠাৎ বালি স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে রিষড়ায় চলে আসার পর স্টেশনেই লকেট চট্টোপাধ্য়ায়কে আটকে দেয় পুলিশ!
লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ১৪৪ টাকে তো আপনি ভায়োলেট করতে পারেন না । আপনারা বিজেপির লোক এলেই ১৪৪ করে দিচ্ছেন । আর সেই দিন, যেদিন ঘটনা ঘটল, সেদিন আপনারা কিছু করলেন না ।
ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি বিজেপির: এর পর বুধবারই রিষড়াকাণ্ডে (Rishra) চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের (Chandannagar Police Commissionarate) কাছে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি নেয় বিজেপি (BJP)। যার নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ই । এদিন সকাল থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারের অফিসের বাইরে।
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা সেখানে পৌঁছলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি । এরপর পুলিশ কমিশারেটের অফিসে ঢোকেন বিজেপি সাংসদ । চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাগলভি অফিসে না থাকায়, ডেপুটি কমিশনার নিধি রানির কাছে ডেপুটেশন দেন লকেট। এ দিন সকাল থেকেই রিষড়ার পরিস্থিতি ছিল থমথমে ! সিংহভাগ দোকানপাটই বন্ধ ছিল! চলছে পুলিশের টহল! রেললাইনে মোতায়েন করা হয়েছে RPF-কে ।